বিডিলনিউজঃ বাংলাদেশের মন্ত্রীদের পদত্যাগের পরও দায়িত্ব পালন করা নিয়ে যখন নানা মহল থেকে সমালোচনার ঝড় বইছে, ঠিক তখনই আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ জানালেন, তারা আসলে পদত্যাগের উদ্দেশে পদত্যাগপত্র জমা দেননি। তাই সরকারি সুযোগ সুবিধা গ্রহণ ও কাজ করতে কোনো ধরনের বাধা নেই।
আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে আইনমন্ত্রী জানান, “সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদের ১(ক) ধারা অনুযায়ী কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করার জন্য পদত্যাগপত্র দিলেই তা কার্যকর হয়, এক্ষেত্রে তা হয়নি। তাছাড়া এ সব পদত্যাগ পত্রে কোন তারিখও উল্লেখ নেই।
আইনমন্ত্রীর ভাষায়, “এটা পদত্যাগপত্রই ছিল না। এটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।”
তিনি স্পষ্ট করেই বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করে সম্বোধন ও তারিখ ছাড়া একটি পত্র দিয়েছি। এর মাধ্যমে পদত্যাগ হয় না।“
ব্যারিস্টার শফিক বলেন, “জনগণের সাথে প্রতারণা বা রাজনৈতিক জটিলতা তৈরি করার উদ্দেশ্যে নয়; প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের আহবান করেছেন তাই আমরা তাঁর আহবানে সাড়া দিয়েছি। যেহেতু এই পদত্যাগ পত্রের কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নেই সেহেতু এটা নিয়ে কোনো জটিলতা তৈরির সুযোগ নেই।“
অন্যান্য মন্ত্রীদের সঙ্গে আইনমন্ত্রীও গতকাল সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দিয়েছিলেন।
তাহলে সোমবার মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর হাতে যে পত্র দিয়েছেন, তাকে কী বলা হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে শফিক আহমেদ বলেন, “আপনারা যা খুশি বলতে পারেন।”
পদত্যাগ পত্র জমা দেবার পর থেকে মন্ত্রীদের পদ শূন্য হয়েছে বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞগণ।
এদিকে, বিরোধী দল দাবি করছে, শুধু মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী নয়, খোদ প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে তার আধীনেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে
Discussion about this post