নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর পুরান ঢাকায় আবারো ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব- ৩)। এ সময় ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনামুল হক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার বাড়ি থেকে পাঁচটি সিন্দুকভর্তি টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, এফডিআর ও ক্যাসিনোসামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাতে পুরান ঢাকার লালমোহন স্ট্রিটে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমের নেতৃত্বে এ ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চালানো হয়।
জানা যায়, রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুরান ঢাকার ১১৯ লালমোহন সাহা স্ট্রিটে ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনামুল হক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় পাঁচ কোটি টাকার এফডিআর ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি সুজয় সরকার জানান, ঘটনাস্থলে র্যাবের অভিযান এখনও চলছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। বেলা ১১টায় এ ঘটনার বিস্তারিত তথ্য সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে বলে জানান র্যাবের সহকারী পরিচালক এএসপি সুজয় সরকার।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শুরু হয় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান। অভিযানে ক্যাসিনোর সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সম্পৃক্ততার কারণে ক্যাসিনো বন্ধের অভিযান সরকারি দলের নেতাদের ভাষায় হয়ে ওঠে শুদ্ধি অভিযান। সেই অভিযান রাজনীতির অঙ্গনেও কাঁপন ধরিয়ে দেয়।
১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাবের মধ্য দিয়ে অভিযানের শুরু। এরপর মোহামেডান, ওয়ান্ডারার্স, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং, দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, গুলিস্তানের মুক্তিযোদ্ধা ক্লাব এবং কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চালায় র্যাব-পুলিশ।
এসব অভিযানে গ্রেপ্তার হন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, শফিকুল আলম ফিরোজ, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, এনামুল হক আরমান, হাবিবুর রহমান মিজান, তারেকুজ্জামান রাজিব ও ময়নুল হক মঞ্জু, ঢাকা মোহামেডান ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়াসহ সরকারি দলের অনেক নেতা। জব্দ হয় কোটি কোটি টাকা, মাদক ও ক্যাসিনো সরঞ্জাম।
Discussion about this post