আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সোমবার রাতে ভারতের লোকসভায় পাস হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাসের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে আসামে। বিক্ষোভ উত্তরপূর্বের অন্যান্য রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১১ ঘণ্টার বনধ’র ডাক দিয়েছে নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস অরগানাইজেশন-এনইএসও। এই বনধকে সমর্থন করছে এসএফআই, ডিওয়াইএফআইসহ একাধিক বাম ছাত্র সংগঠন।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আসামের ডিব্রুগড়, জোড়হাটে বিক্ষোভ করতে রাস্তায় নেমেছে মানুষজন। সকাল থেকেই জোরহাট, বঙ্গাইগাঁওয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সংঘাতের কথা মাথায় রেখে আসামে বাতিল করা হয়েছে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা। একারণে গুয়াহাটির বহু জায়গায় দোকানপাট বন্ধ। রাস্তায় মানুষজনের দেখা নেই। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে আসামের লখিমপুর ও সোনিতপুর জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। চালু করা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ হেল্পলাইন।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, রাজ্যসভায় বিলটি পাস হয়ে গেলে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা সংখ্যালঘুরা পাঁচ বছর থাকলেই ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। মূলত এ কারণেই প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলো।
পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে বহু শরণার্থী এসে বছরের পর বছর ধরে বাস করছে বলে জানিয়ে আসছে ভারত। সেই শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বলে দাবি অমিত শাহের। বিল পেশের পরই বিরোধীদের আক্রমণ ঠেকাতে অমিত শাহ বলেন, ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কারও অধিকার ছিনিয়ে নেবে না। বিলে ভেদাভেদ হচ্ছে বলে যদি কেউ প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে এখনই এই বিল নিয়ে সংসদ ছেড়ে চলে যাব, এক শতাংশ সংখ্যালঘুবিরোধী নয় এই বিল। এই বিল পাস হলে কারও স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না। ধর্মনিরপেক্ষতা স্বীকার করে কেন্দ্রীয় সরকার।’
বিল পাস হওয়ার পর সব সংসদ সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়া এই বিলের সব ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
Discussion about this post