বিডি ল নিউজঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে এবং জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের বিশিষ্ট আটজন ব্যক্তিকে বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ এর জন্য মনোনীত করেছে সরকার। বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত্র প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আগামী ২৫ মার্চ ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিজয়ীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এটি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। প্রতিবছর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়। সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে স্বাধীনতা দিবস (২৬ মার্চ) উপলক্ষে প্রতিবছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তিদের একটি করে সোনার পদক এবং সম্মানসূচক একটি প্রত্যায়নপত্র দেওয়া হয়। এর সঙ্গে প্রত্যেকে এক লাখ টাকা করে পেয়ে থাকেন।
পদক পাওয়া বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে বৃহত্তর সিলেটে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় বিশেষ ভূমিকা পালনকারি মরহুম কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী, ১৯৭১ সালে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআউজি হিসেবে কর্মরত অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার জন্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে শাহাদৎবরণকারী মামুন মাহমুদ, ১৯৭১ সালে ওয়াশিংটনে পাকিস্তানি দূতাবাসে কর্মরত থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশকারি এবং প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সংগঠক সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম শাহ এ এস এম কিবরিয়া, প্রবীণ রাজনীতিবিদ এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ।
এছাড়া ‘সাহিত্যে’ বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, ‘সংস্কৃতি’তে যশস্বী চলচ্চিত্র অভিনেতা আব্দুর রাজ্জাক (নায়করাজ রাজ্জাক) স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন।
‘গবেষণা ও প্রশিক্ষণে’ পুরস্কার পেয়েছেন স্বনামধন্য কৃষি গবেষক ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ হোসেন মণ্ডল এবং ‘সাংবাদিকতা’য় প্রথিতযশা সাংবাদিক প্রয়াত সন্তোষ গুপ্ত স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন।
Discussion about this post