ভারতের দিল্লিতে এবার আট মাসের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআই’র বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, রবিবার ২৮ বছর বয়সী চাচাতো ভাইয়ের ধর্ষণের শিকার হয় ওই শিশু। এরইমধ্যে ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩ ঘণ্টার অস্ত্রপচার শেষে শিশুটি এখন আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।শিশুটির বাবা একজন শ্রমিক এবং মা বাসাবাড়িতে কাজ করে। তারা দুজনই সারাদিনের জন্য কাজে চলে যেতেন। তখন শিশুটিকে দেখভাল করতেন তার এক খালা। বরাবরের মত গত রোববারও মেয়েকে বোনের জিম্মায় রেখে কাজে যান তার মা-বাবা। সেদিন বিকেলে বাড়ি ফিরে মা দেখেন, মেয়ের গোটা শরীর রক্তে মাখা এবং সে চিৎকার করছে। তখন তার বোন জানায়, ওর চাচাত ভাই এসে মেয়েটির সঙ্গে খেলছিল এবং এরপর থেকেই মেয়েটির এ অবস্থা। এ কথা শুনে স্বামী-স্ত্রী ছুটে যান পুলিশের কাছে এবং ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ধর্ষক শিশুটির আপন চাচাতো ভাই।মেডিকেল পরীক্ষায় শিশুটির ধর্ষণের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন চিকিৎসকরা। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল ওই যুবক। সোমবার তাকে আটক করেছে পুলিশ।
২০১২ সালের ডিসেম্বরে দিল্লিতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়া এক মেডিকেল শিক্ষার্থী ভারতজুড়ে নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার পাটাতন তৈরি করেছিল। এবারের ঘটনাও গোটা ভারতে আলোড়ন তৈরি করেছে। ক্ষোভে ফেটে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সোসাল মিডিয়াগুলোতে বইছে সমালোচনার ঝড়।
১৬ই ডিসেম্বর চলন্ত বাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন এক মেডিকেল শিক্ষার্থী। মিডিয়া তাকে ‘নির্ভয়া’ নামে ডাকতে শুরু করে। ঘটনার ১৩ দিন পর সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। এ ঘটনার পর দেশ জুড়ে বিক্ষোভ-আন্দোলন-প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। মেয়ের মৃত্যুর তিন বছর পর সমস্ত কুন্ঠা ত্যাগ করে নির্ভয়ার আসল নাম জ্যোতি সিং বলে জানান মা আশা। রাম সিং নামে এই মামলার পঞ্চম অভিযুক্ত তিহার জেলে রহস্যজনকভাবে মারা যায়। এই মামলার ষষ্ঠ অভিযুক্ত যে অপরাধের সময় নাবালক ছিল, তাকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড তিন বছরের জন্য সংশোধনাগারে পাঠায়। তবে ২০১৫-র নভেম্বরে সে ছাড়া পায়।
Discussion about this post