সংসদ সদস্য হওয়ার পরও কারাগারে ডিভিশনের কোনও সুবিধা নিতে পারবেন না আব্দুর রহমান বদি।তাকে সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গেই থাকতে হবে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বদি কারাগারে পৌঁছেন। তবে তিনি এমপি হলেও ডিভিশন পাবেন না। কারণ, তিনি সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। সাজা পাওয়ার আগে পর্যন্ত আসামিকে কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্রে ডিভিশন দেওয়া হয়। যেখানে তিনি বাড়তি কিছু সুবিধা উপভোগ করতে পারেন এবং সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে থাকতে হয় না।
এর আগে বেলা ১১ টার কিছু পরে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও দশ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। রায় ঘোষণার সময় এমপি বদি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার বেলা ১০টার কিছু পরে বদি আদালত প্রাঙ্গনে উপস্থিত হন। এসময় তাকে বিচলিত মনে হয়নি। তিনি এর আগে সাংবাদিকদের সামনে একাধিকবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের যে অভিযোগ, তা সত্য নয়। বদির পক্ষের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান লিখন রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ন্যয়বিচার পাইনি। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে আপিল করব।’
২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর বদিকে কিছুদিন কারাগারে কাটাতে হয়েছিল। তখন তিনি নিয়মানুয়ায়ী ডিভিশন পেয়েছিলেন। পরে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ছাড়া পান।
গত বছরের ৭ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মঞ্জিল মোর্শেদ ঢাকার সিএমএম আদালতে আওয়ামী লীগ এমপি বদির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। অভিযোগপত্রে বদির ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৯৪২ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য তুলে ধরা হয়।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আবদুর রহমান বদি জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যমানের সম্পদের তথ্য গোপন করে বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য দেন। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেখানোর জন্য কম মূল্যে সম্পদ ক্রয় দেখিয়ে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩ হাজার ৩৭৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি দেখানো হয়েছে।
Discussion about this post