বিয়ানিবাজার সংবাদদাতাঃএস,এ,সি পরিক্ষার প্রথম দিনে বিয়ানিবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও অভিবাবকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছে।জানা যায়, বিয়ানী-১ কেন্দ্র বিয়ানীবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের১৩ নম্বর হলে ৫৬ জন পরীক্ষার্থী প্রায় ২০ মিনিট দেরীতে প্রশ্ন পেয়েছে। তাৎক্ষনিক পরীক্ষার্থীরা হলের দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষকদের বিষয়টি অবহিত করলে তারা সময় দেয়ার আশ্বাস দেন। নির্ধারীত সময় শেষ হলে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে উত্তরপত্র নেয়া হয়। এ সময় পরীক্ষার্থীরা সময় চাইলে দায়িত্বরত শিক্ষক বড়দেশ-ঘুঙ্গাদিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আশরাফুর রহমান, নালবহর উচ্চ বিদ্যালয়ের পারভীন আক্তার ও গবিন্দ্র শ্রী উচ্চ বিদ্যালয়ের মুহিবুর রহমান এড়িয়ে যান। পরীক্ষার্থীরা হল থেকে বেরিয়ে অভিভাবকদের বিষয়টি জানিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। অভিভাবকরা বিষয়টিকেন্দ্রের সহকারি সচিব বিয়ানীবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়া উদ্দিনকে জানান।খলিল চৌধুরী আদর্শ বিদ্যানিকেতনের শিক্ষার্থী ১৩ নম্বর হলের পরীক্ষার্থী মম ও ঐহলে থাকা ছাত্ররা বলেন, স্যাররা আমাদের ১১টা ৮ মিনিটে প্রশ্ন দেন। আমরা দেরীর বিষয়টি বলায় সময় বাড়িয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু ১টার সময় পরীক্ষার শেষ বেল বাজতেই তারা আমাদের উত্তরপত্র নিয়ে নেন। এসময় পরিক্ষার্থীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে, অভিবাক দের তুপেড় মুখে পড়েন শিক্ষকরা খবর পেয়ে কেন্দ্রে ছুটে আসেন বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জুবের আহমদ, পঞ্চখন্ড উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান, শিক্ষক, আব্দুল হাসিব জিবন, বিয়ানীবাজার উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) অসীম চন্দ্র বণিক। ঘটনার সত্যতা পেয়ে তিনি তাৎক্ষনিক ওই তিন শিক্ষককে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন। অসীম চন্দ্র বণিক বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাদের পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। পুরো তদন্ত হওয়ার পর শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Discussion about this post