নির্বাচনকালীন সময়ে সরকারি কর্মকর্তাদের বদলির জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পরামর্শের প্রয়োজন হয়। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদকে গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে বদলি করলেও ইসিকে কিছু জানানো হয়নি।
ইউপি নির্বাচন বিধিমালার ৮৯ বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনের প্রজ্ঞাপন হওয়ার পর থেকে নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশ হওয়ার ১৫ দিন সময় অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ সুপার পদে বদলি করতে হলে ইসির পরামর্শের প্রয়োজন। কিন্তু এসপি হারুন অর রশিদকে গাজীপুরে বদলি করা হলেও ইসিকে কিছু জানায়নি সরকার।
সম্প্রতি অনিয়মের অভিযোগে গাজীপুরে থেকে এসপি হারুনকে প্রত্যাহার করে সেখানে উপযুক্ত কর্মকর্তা দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন ইসি। সে মোতাবেক তাকে গাজীপুর থেকে প্রত্যাহার করা হলেও মাত্র কয়েকদিনের ব্যাবধানে তাকে আবার সেখানেই পদায়ন করলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যা ইউপি নির্বাচনের আইন বিরোধী বলে মনে করছেন অনেকে।
ইসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপ-সচিব মর্যাদার কর্মকর্তারা বলেন, গাজীপুরে শনিবার ৭ মে চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচন রয়েছে। কাজেই সেখানে কাউকে বদলি করতে হলে নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ১৫ দিন পর বদলি করতে হবে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আবু হাফিজ বলেন, হারুন অর রশিদের বদলির বিষয়টি আমরা জানি না। আমাদের এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির সিনিয়র কর্মকর্তারা বলেন, আদেশ যদি নির্বাচনের পর কার্যকর হয়, সে আদেশ নির্বাচনের মধ্যেই কেন হতে হবে? ইসি কাউকে প্রত্যাহার করার পর এতো তাড়াতাড়ি তাকে পূর্বের কর্মস্থলেই বদলি করার নজির নেই। এ ধরনের ঘটনা ঘটানো উচিত নয়।
উল্লেখ্য, হারুন অর রশিদ সংসদ ভবনের সামনে বিএনপি নেতা জয়নুল আবেদিন ফারুককে মারধর করে আলোচিত হয়েছিলেন।
Discussion about this post