নিজস্ব প্রতিবেদক :-
এ্যাডভােকেট খন্দকার আমিনুর রহমান(৩০), পিং খন্দকার আতিয়ার রহমান, সাং- চর শামনগর, থানা- রাজবাড়ী সদর, জেলা- রাজবাড়ী। ফরিদপুর। কোতয়ালী থানায় হাজির হইয়া এই মর্মে অভিযােগ দায়ের করিয়াছেন যে, চাঁদাবাজী সংক্রান্ত বিষয় লইয়া বিবাদী মােঃ মামুন মৌলভি (৪৫), পিতা মৃত মােঃ জলিল মৌলভি, সাং খলিলপুর বাজার, থানাকোতয়ালী, জেলা- ফরিদপুর গত ১৫/০৪/২০২১ইং তারিখ হইতে খলিলপুর বাজার হাসপাতাল রােডে গােডাউন ঘর নির্মাণ কাজ করছিলেন।
এমতাবস্থায় বিবাদী জোরপূর্বক ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা দাবি করে এবং টাকা না পেলে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে ভয়ভীতি দেখায় এবং ১৬/০৪/২০২১ইং তারিখে এসে কাজের স্থানে আমার অধিনস্থ মিস্ত্রীদের ভয়ভীতি দেখায় এবং কাজ বন্ধ করতে বলে আর ততাদের মালিককে আমার সাথে দেখা করতে বলবি তা না হলে এখানে কাজ করতে দিব না। ১৭/০৪/২০২১ইং তারিখে কাজের স্থানে এসে বিবাদী বলে যায় এই কাজের নির্মাণ সামগ্রী আমার কাজ থেকে নিতে হবে যদি না নিতে ময় তাহলে কাজ বন্ধ করে দিব এমন হুশিয়ালী দেন তারা।
১৮-১৯/০৪/২০২১ইং তারিখে বিবাদীর সাথে দেখা হলে বলে আমার টাকা তাে এখনাে পাইনাই তােকে কিন্তু সে ২০/০৪/২০২১ইং তারিখ অনুমান সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময় বিবাদী কাজ বন্ধ করে মিস্ত্রীদের দিয়ে আমাকে ফোনের মাধ্যতে কাজের স্থানে নিয়ে আসে। আমি আসলে আসামী আমার কোন কথা না শুনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বলে আমাকে এখনই নগদ ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা দিবি তা না হলে তােকে এখানে জবাই করে ফেলব।
আমি কোন প্রতিবাদ বা কথা না বলায় বিবাদীর কিলঘুসি দিয়ে আমার শরীরে অংশে নিলাফুলা যখম হয়ে যায়। এমনকি আমাকে আসামী মােঃ মামুন। মৌলভী হত্যার উদ্দেশ্যে লােহার রড দিয়ে আমার মাথায় বেশ কয়েকটি আঘাত করিলে প্রচন্ড রক্তক্ষয় হয় এবং আমি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। আমার অধিনস্থ মিস্ত্রীগণ আমাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
উক্ত বিষয়ের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে কোতয়ালী থানায় অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছে ।
Discussion about this post