আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সরকার ‘প্রিজনস অ্যান্ড কারেকশনাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট’ ২০১৮ নামে একটি নতুন আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে। এই আইন কারাগারে বন্দিদের পুনর্বাসনের মূল কাজ করবে। এজন্য আমাদের কর্মকর্তাদের সক্ষমতা তৈরিতে নতুন ও উদ্ভাবনী সহযোগিতা প্রয়োজন। তবে এজন্য বাইরের সহযোগিদেরও অংশীদারিত্ব কাজে লাগাতে হবে।’
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, কারা অধিদফতর এবং জার্মান ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের (জিআইজেড) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত প্লানিং ওয়ার্কশপ অব রুল অব ল প্রোগ্রামে আইনমন্ত্রী একথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
আনিসুল হক বলেন, ‘আমাদের কারাগারগুলোয় বিচার না হওয়া বন্দিদের উচ্চহার কমাতে, সেই সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বিচার পদ্ধতি দ্রুততর করতে এবং ছোটখাটো মামলাগুলো অব্যাহতভাবে অনানুষ্ঠানিক বিচার পদ্ধতিতে পাঠানো প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, পর্যাপ্ত বিকল্প পথ ছাড়া আমাদের আদালত ও কারাগারগুলোতে ছোট ছোট মামলার স্তূপ অব্যাহত থাকবে। আমাদের নীতি নির্ধারণে এডিআরকে আরও শক্তিশালী করতে আমাদের চিন্তা-ভাবনার প্রয়োজন রয়েছে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সমগ্র বিচার প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তি সহায়তা করছে এবং তা কয়েক মাসের মধ্যেই সহজলভ্য হয়ে উঠবে। এর মাধ্যমে দেশব্যাপী বিচার বিভাগের নিরীক্ষণে কেমন ফলাফল আসবে তার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি এবং ওই নিরীক্ষার ফল আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাওয়া যাবে। আর ওই নিরীক্ষার ফলের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সঙ্গে কাজ করে আমরা এসডিজি ১৬-এর অগ্রাধিকার প্রতিবেদন শক্তিশালী করবো।’ খবর বাসস।
Discussion about this post