নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দ্বিতীয় দফা সংলাপেও দুই পক্ষ বিরোধ মিটিয়ে একমত হতে পারেনি। সংলাপে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে ১০ জন উপদেষ্টাকে নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা সংবিধানের বাইরে যাব না। সংলাপে আমাদের মধ্যে মনখুলে আলোচনা হয়েছে। তারা সংসদ ভেঙে দিয়ে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছেন।
আজ বুধবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ঐক্যফ্রন্টের প্রস্তাবকে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার কৌশল উল্লেখ করে কাদের বলেন, এতে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে আর এ সুযোগে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অংশ নেয়া দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম গণভবন থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্দিষ্ট কোন সমাধান হয়নি। আরো সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। দুই পক্ষই তাদের অবস্থানে অনড়।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংলাপ শেষ হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টার পর শুরু হয়ে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে এ সংলাপ শেষ হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা আজকে যে দাবিগুলো নিয়ে এসেছেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে, সে বিষয়ে তার ঐক্যমত চান। নিশ্চয়তা চান। ‘এছাড়া তারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও রাজবন্দিদের মুক্তি চেয়েছেন, এ বিষয়ে তাদের দাবি মেনে নিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর মেজিস্ট্রেসি পাওয়ার নিয়ে তারা যা বলেছেন, তা আমাদের দেশে চালু নেই। তবে সেনাবাহিনী টাস্কফোর্স হিসেবে থাকবে, স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত থাকবে।
তারা বেগম জিয়ার মুক্তি ওইভাবে চাননি, জামিন চেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বলেছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালে এ মামলা করেছে। এটি আগেই নিষ্পত্তি করা যেতো, কিন্তু তারা দেরি করেছেন। এখন আদালত তাকে দণ্ড দিয়েছেন। ‘তারা আদালতের কাছে জামিন চাইতে পারেন, আদালত যদি তাদের জামিনে মুক্তি দেয়, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
Discussion about this post