পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় রায় বৃহস্পতিবার ঘোষণা করবেন ট্রাইব্যুনাল। মামলার প্রধান আসামি তাদের মেয়ে ঐশী রহমান।
ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ রায় ঘোষণা করবেন।
এর আগে ৪ নভেম্বর এই মামলার যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১২ নভেম্বর তারিখ ধার্য করেন একই বিচারক।
মামলার চার আসামির মধ্যে ঐশী ও তার বন্ধু আসাদুজ্জামান জনি কারাগারে এবং মিজানুর রহমান রনি জামিনে রয়েছে। অন্য আসামি গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমি নাবালক হওয়ায় তার বিচার চলছে অন্য আদালতে। সেও জামিন আছে।
রায়ের ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (এসপিপি) মাহাবুবুর রহমান বলেন, “আমি মনে করি রাষ্ট্রপক্ষ পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।” তাই আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছেন তিনি।
অন্যদিকে আসামি ঐশীর আইনজীবী ফারুক আহমেদ রায়ের ব্যাপারে বলেন, “ঐশী হত্যাই করেনি। কে বা কারা হত্যা করেছে তাও সে জানে না। পরিকল্পিতভাবে তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ চাপানো হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তাই ঐশী খালাস পাবেন।”
এ মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির আগে ট্রাইব্যুনাল মোট ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্য নেন।
২০১৪ সালের ৯ মার্চ ডিবির ইন্সপেক্টর মো. আবুয়াল খায়ের মাতুব্বর এই মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর চামেলীবাগের নিজ বাসা থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন তাদের মেয়ে ঐশী রহমান রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, তার দুই বন্ধুকে নিয়ে সে তার বাবাকে খুন করেছে। পরবর্তী সময়ে সে হত্যার অভিযোগ স্বীকার করে আদালতেও জবানবন্দি দেয়।
ঐশীর জবানবন্দি থেকে জানা যায়, ঘটনার দিন কফির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে সে বাবা-মাকে অচেতন করে। এরপর বন্ধুদের সহায়তায় তাদের খুন করে লাশ বাথরুমে নিয়ে রাখা হয়। সকালে ছোট ভাই ওহী রহমান ও গৃহকর্মী সুমিকে নিয়ে সে বাড়ি থেকে পালায়। পরদিন পত্রিকায় বাবা-মায়ের লাশ উদ্ধারের খবর পড়ে ঐশী রমনা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে।
Discussion about this post