প্রেমের প্রস্তাবে কোন সাড়া না পাওয়ায় সুরাইয়া আক্তার রিশাকে একাই ছুরিকাঘাত করেছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে ওবায়দুল খান।
বুধবার (৩১ আগস্ট) ভোরে নীলফামারির ডোমার থেকে গ্রেফতারের পর ডিএমপি’র রমনা থানা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ওবায়দুলকে। জিজ্ঞাসাবাদে রিশাকে ছুরিকাঘাতের বিষয়টি ওবায়দুল স্বীকার করেছে বলে জানায় পুলিশ।
রমনা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওবায়দুল রিশাকে পছন্দ করতো। ওবায়দুলের দাবি, রিশাও তাকে পছন্দ করতো। তার বক্তব্য অনুযায়ী পছন্দ কিংবা প্রেমের বিষয়টি ছিল প্রাথমিক অবস্থায়। দীর্ঘদিন সে রিশার পেছনে ঘুরেছে। কিন্তু সম্পর্কের উন্নতি ঘটেনি। রিশার কাছ থেকে সে আশানুরূপ সাড়া পায়নি। এক পর্যায়ে ক্ষেপে গিয়ে রিশাকে ছুরিকাঘাত করেছে।
জিজ্ঞাসাবাদে ওবায়দুল জানিয়েছে, ছুরিকাঘাতের সময় সে একাই ছিল। অন্য কারো সহযোগিতা সে নেয়নি।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রমনা বিভাগের এডিসি আজিমুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজই ওবায়দুল সীমান্ত পার হয়ে ইন্ডিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। বুধবার তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব না হলে সে ইন্ডিয়া চলে যেতো’
রিমান্ডে এনে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সুস্পষ্ট ধারনা পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গতকাল বুধবার (৩১ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন রিশা হত্যা মামলায় আদালতে ওবায়দুলের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বুধবার (২৪ আগস্ট) পরীক্ষা শেষে স্কুলের সামনের পদচারী-সেতু দিয়ে সড়কের ওপারে যাওয়ার সময় ওবায়দুল রিশাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক রিশাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর রবিবার (২৮ আগস্ট) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিশা মারা যায়। এ ঘটনায় তার মা তানিয়া হোসেন রমনা থানায় এলিফ্যান্ট রোডের ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্সের একটি দরজির দোকানের কর্মী ওবায়দুলকে আসামি করে মামলা করেন।
Discussion about this post