বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোগীর ব্যবস্থাপত্রে চিকিৎসকরা ওষুধের মাদারনেম (আসল নাম) লিখতে কেন আইন তৈরি করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে দায়ের করা এক আবেদনের শুনানি করে বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনকারী ব্যারিস্টার গোলাম সারোয়ার পায়েল নিজেই শুনানি করেন। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।</p> আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্যসচিব, মহা-পরিচালক ওষুধ প্রশাসন, মহা-পরিচালক স্বাস্থ্য, মেডিকেল অ্যান্ট ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতিসহ চারজনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।</p> পরে আদালত থেকে বেরিয়ে ব্যারিস্টার গোলাম সারোয়ার পায়েল সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডাক্তররা ওষুধের আসল বা মাদারনেম না লিখে কোম্পানির দেয়া ওষুধের ব্র্যান্ডনেম (কোম্পানির দেয়া পরিচিত নাম) রোগীর ব্যবস্থাপত্রে লিখে। ফলে রোগীরা তাদের ইচ্ছেমতো কোম্পানির ওষুধ কিনতে দ্বিধায় পড়েন। ডাক্তারদের দেয়া পরামর্শক্রমে রোগীরা সেই কোম্পানির ওষুধ কিনে অর্থের অপচয়ের শিকার হন।’</p> তিনি বলেন, ‘ওষুধের মাদারনেম বা আসল নাম লিখলে রোগী তার ইচ্ছানুযায়ী যেকোনো কোম্পানির ওষুধ কিনে খেতে পারবে। কিন্তু আমাদের দেশের রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের নাম লিখতে ডাক্তাদের বিষয়ে এরকম কোনো আইন নেই। আইন থাকলে ডাক্তাররা এরকম করতে পারতো না।’</p> তিনি বলেন, ‘ভারতে এরকম আইন প্রণয়ন করা হয়েছে ২০০২ সালে। আমাদের দেশে ওষুধের আসল নাম লেখার ক্ষেত্রে এরকম আইন থাকলে রোগী বা সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হবে না।’ এসময় উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘যেমন ‘এভিল’ কোম্পানির দেয়া একটি ওষুদের নাম। এ ওষুধের আসল নাম হলো ‘ফেনিরামাইন সেলিয়েট বিপি।’</p>
Discussion about this post