হাফিজুর রহমান বিজয় নামের এক ব্যক্তিকে বাউফল থানায় হেফাজতে নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে। ওই ঘটনায় পটুয়াখালীর সার্কেল এএসপি সাইফুল ইসলামের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে।
আজ রবিবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদনটি দাখিল করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাউফল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ওই দিন রাত সাড়ে ১২টায় থানা হাজত থেকে বের করে ভিকটিম বিজয়কে ওসির কক্ষে নিয়ে বেধড়ক মারপিটসহ শারীরিক নির্যাতন করে। তবে একই ঘটনায় বাউফল থানার ওসি আজম খান ফারুকী, ওসি তদন্ত লুৎফর রহমান, এসআই ফেরদৌস আলম ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি এএসপি সাইফুল ইসলামকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেছিলেন। তার আগে ঘটনার বিষয়ে আইজিপিকে আদালতে একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল।
অনুসন্ধানের সময় প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত ভিকটিমের চিকিৎসা সনদপত্র, সাক্ষীদের জবানবন্দি ও রেকর্ডপত্র পযলোচনায় দেখা যায়, পটুয়াখালীর জেলা বাউফল থানার ২১ নম্বর মামলার এজাহারভুক্ত আসামি কে এম হাফিজুর রহমান বিজয়কে গত ১২ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই ফেরদৌস আলম গ্রেফতার করে থানা হাজতে নিয়ে আসেন।
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এএসপি ও ওসিকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এএসপি সার্কেল সাইফুল ইসলাম ও বাউফল থানার ওসি আযম খান ফারুকী আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চান। আদালত তাদের আবেদন বিবেচনায় নিয়ে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত।
আদালত সেদিন রুলও জারি করেন। রুলে এই নির্যাতনের ঘটনাকে কেন অবৈধ ঘোষণা, নির্যাতিতকে কেন ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়।
Discussion about this post