রাজধানীর বেসরকারি ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিতে’ অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী ক্যাম্পাসসহ পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে না পারায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গোলাম সারোয়ার পায়েলের দায়ের করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
রুলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এর অধীনে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের দেওয়া বেতন-ভাতা লভ্যাংশসহ কেন ফেরত দেওয়া হবে না জানতে চেয়েছেন আদালত।
এদিকে, অপর এক রুলে রুলে মানি লন্ডারিং ও বিশ্বাস ভঙ্গ করার জন্য বিবাদীদের বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষাসচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও রেজিস্ট্রারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতের শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী গোলাম সারোয়ার পায়েল। তিনি জানান, প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর অতিবাহিত হলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এর অধীনে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী ক্যাম্পাসের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
তিনি বলেন, ক্যাম্পাসের জন্য ঢাকার ভিতরে দুই একর এবং ঢাকা বাইরে দুই একর জায়গা থাকার কথা। কিন্তু তারা এসব নিয়ম না মেনেই অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাযক্রম চালাচ্ছে। তাই জনস্বার্থে রিট করেছি। ওই রিটের শুনানিতে আজ আদালত এ আদেশ দেন।
Discussion about this post