ঢাকা ওয়াসার পানির মূল্যবৃদ্ধি কেন অবৈধ হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পানির মূল্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত ওয়াসা আইনের ধারা কেন বেআইনি হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল দেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে গত ১ এপ্রিল থেকে পানির দাম প্রায় ২৫ শতাংশ বাড়ানো হয়। এর সূত্র ধরে পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইনের কয়েকটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ গত ১৫ জুন রিট করেন।
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল থেকে আবাসিক গ্রাহকদের পানির বিল ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। আর বাণিজ্যিক গ্রাহকের বিল প্রায় ৮ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়। নতুন মূল্যহার অনুযায়ী প্রতি হাজার লিটার পানির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ টাকা ৪৬ পয়সা, যা আগে ছিল ১১ টাকা ৫৭ পয়সা। আর বাণিজ্যিকে প্রতি হাজার লিটারে ৩৭ টাকা ৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে পানির মূল্য ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল।
সেবার মান না বাড়িয়ে কোনো কারণ ছাড়াই ১ এপ্রিল থেকে ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বাড়ানো কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন, ১৯৯৬ এর ২২(৩) ধারা অনুযায়ী পানির দাম বাড়িয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগের জারি করা অফিস আদেশ কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন, ১৯৯৬ এর ২২(৩) ধারাটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, আইন সচিব, ঢাকা ওয়াসা, পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
Discussion about this post