কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারে এক রাতেই পুলিশের সঙ্গে পৃথক পৃথক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় দুই রোহিঙ্গা ‘মানব পাচারকারি’ ও এক ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন- কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার মোহাম্মদ জহিরের ছেলে শহীদুল ইসলাম ভুলু (৩৬) এবং উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রহিম আলীর ছেলে আব্দুস সালাম (৫২) ও টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আব্দুর রহিমের ছেলে আজিম উল্লাহ (২২)।
আজ মঙ্গলবার ভোর রাতে কক্সবাজার শহরের কলাতলী কাটাপাহাড় এবং টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরে গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন খোন্দকার বলেন, নিহত শহীদুল ইসলাম ভুলু একজন চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে পাঁচটি মামলা রয়েছে।
এসব মামলায় দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন ভুলু। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার বিকেলে কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
ওসি বলেন, থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর ভুলুর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে নিয়ে ভোরের দিকে শহরের কলাতলী কাটাপাহাড় এলাকায় ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশের একটি দল। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ইয়াবা ব্যবসায়ী ভুলুর সহযোগীরা গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশও তখন আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলি থামার পর ভুলুকে সেখানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
ভুলুকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে ৪০০ ইয়াবা, একটি দেশে তৈরি বন্দুক ও দুটি গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ভুলুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
কথিত বন্দুকযুদ্ধের অন্য ঘটনাটি ঘটে টেকনাফের শামলাপুর এলাকায়। টেকনাফের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, সাগরপথে পাচারের জন্য কিছু লোককে ওই এলাকায় জড়ো করা হয়েছে বলে ভোর রাতে খবর পায় পুলিশ।
পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে মানব পাচারকারীরা গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশও তখন আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। পরে ঘটনাস্থলে দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। গুলিবিদ্ধ দুজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি।
পরে তাদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা আব্দুস সালাম ও আজিম উল্লাহ হিসেবে শনাক্ত করা হয় বলে জানান ওসি প্রদীপ। তিনি বলেন, এ অভিযানে পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি বন্দুক এবং পাঁচটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
Discussion about this post