নগর জীবনের নিয়ম ও ব্যস্ততা থেকে খানিক স্বস্তি পেতে ঘুরে আসতে পারেন বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার থেকে। বিশেষকরে এই অফ-পিকে। এ সময় সমুদ্রের ঢেউ শীতের তুলনায় অনেক বড়, নেই পর্যটকের বাহুল্য। ফলে যাদের বাসনা একটু নিরিবিলি সমুদ্র দেখার, তারা এ সময়টা বেছে নিতে পারেন। সঙ্গে হোটেলগুলোতেও চলছে ছাড়, নানা অফার। এ আয়োজনে থাকছে কক্সবাজারের কিছু নামী হোটেলের গ্রীস্মকালীন অফারের খবর-
কক্স টুডে
পাঁচ তারকা হোটেল কক্স টুডের গ্রীষ্মকালীন স্পেশাল অফার পেতে আপনাকে অন্তত খরচ করতে হবে ৮,৯৯৯ টাকা। তার মানে এই টাকায় আপনিসহ আরও একজন তিন দিন দু’রাত হোটেলে অবস্থান করতে পারবেন। এই অফারে আপনাকে এয়ারপোর্ট থেকে পিক অ্যান্ড ড্রপ-এর দায়িত্বও হোটেল কতৃপক্ষের। এসব হোটেলে এমনিই সকালের নাস্তা কমপ্লিমেন্টারি, এছাড়া এই প্যাকেজে থাকছে দুজনের এক রাতের ডিনার ফ্রি। হোটেল কতৃপক্ষ ওদের খরচে হিমছড়ি ঘুরিয়ে আনবে। তাছাড়া সুইমিংপুল, কফি আওয়ার ইত্যাদি নানা সুবিধা তো আছেই। হোটেল দি কক্স টুডে সূত্রে জানা যায়, আমরা এই গ্রীষ্মকালীন সময়টায় হানিমুনের জন্যে একটি বিশেষ প্যাকেজ রেখেছি। মাত্র ১২,৯৯৯ টাকায় এই বিশেষ প্যাকেজটি উপভোগ করতে পারবেন যুগলরা। হানিমুন প্যাকেজে সি-বিচমুখি রুমে তিন দিন দু’রাত থাকার সুবিধা পাবেন উপরে উল্লেখিত টাকায়। এছাড়াও থাকবে হানিমুন কেক, ক্যান্ডল লাইট ডিনার, আর বুফেতে সকালের নাস্তা তো বটেই।
লংবিচ হোটেল
কক্সবাজারের আরেক দামী হোটেল লংবিচও এই গ্রীষ্মে দিচ্ছে নানা অফার। লংবিচ সামার অফার প্রিমিয়ার প্যাকেজে ৬.৫ হাজার টাকায় দু’জন থাকতে পারবেন দু’রাত তিন দিন। এরপর যদি অতিরিক্ত আরও একরাত থাকতে চান তাহলে তার জন্য দিতে হবে বাড়তি ৩ হাজার টাকা। সুপিরিয়র প্যাকেজে দু’রাত তিন দিন দু’জন ৭ হাজার, এক্সিকিউটিভ প্যাকেজ ৭.৫ হাজার, প্রিমিয়ার স্যুট প্যাকেজ ১২.৫ হাজার টাকায় থাকা যাবে। হোটেল সূত্রে জানা যায়, এসব প্যাকেজের আওতায় অতিথিরা উপভোগ করতে পারবেন সকালের নাস্তা, সুইমিংপুলসহ আরও নানা কিছু। মারুফ আহমেদ আরও বলেন, আমাদের হানিমুন প্যাকেজে ১০ হাজার ৫শ টাকায় বিলাসবহুল কক্ষে দু’জন দু’রাত তিন দিন থাকার সুবিধা পাচ্ছে। এ প্যাকেজে রয়েছে একটি ক্যান্ডেল লাইট ডিনার, হানিমুন কেক। তেমনি আরেকটি প্যাকেজ হলো- হানিমুন স্যুট। তাতে পাচ্ছেন ১৭ হাজার ৫শ টাকায় দু’ রাত তিন দিন থাকার সুবিধা।
হোটেল ওশান প্যারাডাইজ
এই গ্রীষ্মে হোটেল ওশান প্যারাডাইজে ওই অর্থে তেমন কোনো অফার নেই। তবে তারা রুম ভাড়ার ক্ষেত্রে দিচ্ছে বিশেষ ছাড়। এ নিয়ে কথা হয় হোটেল প্যারাডাইজের সেলস্ এন্ড মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ শাহরিয়ারের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা সর্বনিম্ন একটা মূল্য রেখেছি। এখানে দু’রাত ৩ দিন থাকায় খরচ পড়বে ১৩ হাজার ৪শ টাকা। এর মধ্যে রয়েছে একটি ডিনারসহ দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা।
হোটেল সিগাল
হোটেল সিগালে চলেছে বৃষ্টির গান, রোদেলা দুপুর, বৈশাখি সুর, দামাল হাওয়া, বৃষ্টি ভেজা দুপুর, মধুযামিনী ইত্যাদি নানা নামের প্যাকেজ।হোটের সিগাল-এর বৃষ্টির সুর প্যাকেজটিতে আপনি পাচ্ছেন দুই রাত তিন দিন থাকা ও বুফেতে সকালের নাস্তা। সেই সঙ্গে প্রতিদিন ১ ঘন্টা সুইমিংপুলে সুইমিংয়ের সুবিধা। হোটেল সূত্রে জানা যায়, দু’রাত তিন দিন থাকার জন্যে সমুদ্রমুখি কক্ষগুলোর ভাড়া পড়বে ৭ হাজার টাকা। বৈশাখি সুর ও দামাল হাওয়া প্যাকেজের আওতাধীন রুমে কিছুটা পার্থক্য থাকলেও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা একই। বৈশাখি সুর নামে প্যাকেজটির খরচ পড়বে ৮ হাজার ও দামাল হাওয়ার ৮.৫ হাজার টাকা। এছাড়া হোটেল সিগালের বৃষ্টিভেজা দুপুর নামে প্যাকেজে ১৬ হাজার টাকায় বিলাসবহুল কক্ষে থাকা যাবে দু’রাত তিন দিন। বিভিন্ন দামী হোটেলের এসব অফার ছাড়াও কক্সবাজারের প্রায় সব হোটেল-রিসোর্ট এই গ্রীষ্মে, অফ-পিক মৌসুমে রুম ভাড়ার উপর দিচ্ছে বিশেষ ছাড়, সেটা শতকরা ৭০ ভাগ পর্যন্ত। ফলে এ সময় কক্সবাজার বেড়ানো অন্য সময়ের থেকে অনেক সাশ্রয়ী। আর যারা একটু নিরিবিলি ঘুরতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটাই মোক্ষম সময়।
Discussion about this post