চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা মামলায় দুর্ধর্ষ ইব্রাহীম ওরফে কচি হিজড়ার বিরুদ্ধে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক সুব্রত দাস।
অন্যদিকে কচি হিজড়ার পক্ষে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহা. আহসান হাবীব তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, কচি হিজড়া অত্যন্ত দুর্ধর্ষ প্রকৃতির লোক। তার বিরুদ্ধে এ চাঁদাবাজির মামলা ছাড়াও রাজধানীর খিলক্ষেত থানার একটি, উত্তরা পশ্চিম থানার আরও একটি চাঁদাবাজির মামলা আদালতে বিচারাধীন এবং জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার একটি চাঁদাবাজি মামলা তদন্তাধীন। মামলার এজাহারভুক্ত অন্যান্য পলাতক আসামিকে গ্রেফতার ও মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির রিমান্ড একান্ত প্রয়োজন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২৯ মে হিজড়ারা নিরাপদ রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ইনভেনটরি অফিসার মো. আহসান উল্লাহর অফিসে ঢুকে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে কাজ বন্ধ করার হুমকি দেন তারা। তাৎক্ষণিক কোম্পানির মালিককে বিষয়টি জানিয়ে হিজড়াদের তিন হাজার টাকা চাঁদা দেন আহসান উল্লাহ।
বাকি টাকা না পাওয়ায় হিজড়ারা আহসান উল্লার সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে তার পরনের প্যান্ট খুলে ফেলেন। মোবাইল সেট ভেঙে ফেলে আট হাজার টাকার ক্ষতি করেন। এরপর কাজের জন্য রাখা চার হাজার টাকা মূল্যের আট বস্তা সিমেন্ট পানিতে ফেলে দেন। বিয়ষটি পুলিশকে জানালে বড় ধরনের ক্ষতির হুমকি দেন। এ ঘটনায় আহসান উল্লাহ বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় ইব্রাহীম ওরফে কচি হিজড়া, শশি, মাধুবী, আরিফ ওরফে আইরিন, মরিয়ম বেগম ওরফে সীমা, জোনাকি বেগম, মাকসুদা, মল্লিকা, মিতু ইসলাম, সোনালী আক্তার, আলমাস ওরফে আলেয়া, শান্তাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১৫ জন হিজড়াকে আসামি করা হয়।
Discussion about this post