নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যে প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগের দ্বন্দ্ব সুস্পষ্ট। বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যে প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগে কর্তৃত্বের দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। স্বাধীনতার পর থেকে বিচার বিভাগ পৃথক্করণ ও বিচারকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিভিন্ন সময় এ ধরনের দ্বন্দ্ব দৃশ্যমান হয়েছে। তবে গত দুই বছরে উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগ এবং অধস্তন আদালতের বিচারকদের পদোন্নতি ও বদলি ইস্যুতে এ দ্বন্দ্ব বেড়েছে। এর মধ্যে কয়েক দফা সময় দেওয়ার পরও আপিল বিভাগের আদেশ অনুসারে অধস্তন আদালতের বিচারকদের জন্য পৃথক আচরণ ও শৃঙ্খলা বিধিমালা এবং জুডিসিয়াল সার্ভিস বিধিমালা প্রণয়ন হয়নি।
সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ ছাড়া বিচারকদের শোকজ না করা, বিদেশ যেতে বিচারকদের সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র গ্রহণ, বিচারাঙ্গনের বাইরের কাউকে অধস্তন আদালতের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানো, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্থানান্তর, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সুপ্রিম কোর্টের গৃহীত ডিজিটাল ডকুমেন্টশন প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার পক্ষের আপত্তিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে এই দ্বন্দ্বের প্রকাশ ঘটছে। এসব বিষয় আগে মন্ত্রণালয় দেখভাল করেছে। তবে গত দুই বছরে সুপ্রিম কোর্টের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার প্রয়াস লক্ষ্য করা গেছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলছেন, ‘বিচার বিভাগে দ্বৈত শাসন চলছে।’ অবশ্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলছেন, ‘সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় কোনো রকম হস্তক্ষেপ করছে না।’
এ রকম এক পরিস্থিতিতে গত বছরের ২৯ জানুয়ারি বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। বৈঠকে আইনমন্ত্রীও ছিলেন। তবে কয়েক মাস পর আবারও সংকট দৃশ্যমান হতে থাকে। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আদেশ প্রতিপালন না করায় আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে তলবের ঘটনাও ঘটেছে। অবশ্য এর মধ্যে গত ১০ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আইনমন্ত্রীর বৈঠকের খবর পাওয়া গেছে। বিচারাঙ্গনের প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে বৈঠক বা বিচারাঙ্গনের সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে কোনো কথা বলতে আইনমন্ত্রী বা সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন-সংশ্লিষ্ট কেউ রাজি হননি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে অধস্তন আদালতের বিচারকদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন এ মতদ্বৈতের অন্যতম কারণ। এসব ক্ষেত্রে প্রায়ই অধস্তন আদালতের বিচারকরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন মন্ত্রণালয় ও সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত বিচারকদের পরামর্শ নিয়ে। বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে ৪৫ জন বিচারক ও সুপ্রিম কোর্টে ২০ জন বিচারক প্রেষণে কাজ করছেন। দেশের ৬৪ জেলায় কর্মরত বিচারকদের মতে, প্রেষণে থাকা বিচারকদের ঘিরেই মূলত সরকার ও বিচার বিভাগের মধ্যে টানাপড়েন চলছে। কারণ প্রেষণে থাকা বিচারকরা নির্দিষ্ট পক্ষের হয়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিচার বিভাগের কাঠামোকে দুর্বল করছেন। তারা দায়িত্বশীল ভূমিকা নিলে এ টানাপড়েন এড়ানো যেত। গত ২৪ ডিসেম্বর জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও আইন সচিবের অনুপস্থিতি অনেকের নজরে পড়েছে।
একাধিক বিচারক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিচার বিভাগ ও সরকারের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব চলছে, তার অবসান দরকার। আমরা চাই সংবিধান অনুসারে বিচার বিভাগ চলবে। বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে স্বাধীনতার ৩৬ বছর পর বিচার বিভাগ ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক হয়েছে। কিন্তু সরকারের প্রশাসনযন্ত্রের মানসিকতার পরিবর্তন হয়নি। প্রধান বিচারপতি আগামী বছর ৩১ জানুয়ারি অবসরে যাবেন। আমরা যারা কর্মরত আছি, তাদের এরপরও সংবিধান অনুসারে দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টি সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল। আমরা চাই, পরবর্তী সময়ে যিনি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করবেন, তিনিও পিছু না হটে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখবেন।’
অন্যদিকে সরকার-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থেই বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি। এই দুই স্তম্ভের কোনো বিরোধ দেখা দিলে তা হবে গণতান্ত্রিক ধারার জন্য অশনিসংকেত। বর্তমানে যে বিরোধ রয়েছে, তা পারস্পরিক সীমারেখা মেনে ও শ্রদ্ধাবোধকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।
এর আগে ২০১২ সালে তৎকালীন স্পিকার ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের একটি রুলিংকে কেন্দ্র্র করে কয়েকজন সংসদ সদস্য হাইকোর্টের একজন বিচারপতিকে অপসারণের দাবি তুলেছিলেন। পরে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতি অপসারণ প্রক্রিয়া পরিবর্তন করা হয়; যা ইতিমধ্যে হাইকোর্টের রায়ে বাতিলও হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় গত বছর জাতীয় সংসদে ‘সুপ্রিম কোর্ট জাজেস (রেমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজেস) (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০১৬’ স্থগিতের ঘটনা ঘটে। পরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ওই বিল সংসদে পাস হয়।
কার্যকর হয়নি, বিবেচনাধীন অনেক বিষয়: অনুসন্ধানে দেখা যায়, উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগ, অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে দিনের পর দিন বিবেচনাধীন থাকছে। আবার কোনো বিষয়ে সংশোধিত প্রস্তাবও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে পাঠানো হয়ে থাকে। ফলে উভয়পক্ষের বিলম্বিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় বিচার বিভাগের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। মাসদার হোসেন বনাম রাষ্ট্র মামলায় উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী বিচারক নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতিসহ বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মতামত পালন করাও সরকারের জন্য বাধ্যতামূলক। এদিকে সুপ্রিম কোর্ট থেকে প্রস্তাব পাঠানোর পরও পাঁচ মাস ধরে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের বিষয়টি ফাইলবন্দি। এ ছাড়া গত দুই বছরে সুপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন আদালতের বিচারকদের সহায়ক জনবলসংক্রান্ত দুই হাজার ৪৬৮টি পদ সৃজনের প্রস্তাব, ৯১টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত গঠন, ২১টি অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত গঠন, জুডিসিয়াল একাডেমি গঠনের প্রস্তাব, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নেওয়াসহ অধিকাংশ বিষয় সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাব অনুযায়ী এখনও কার্যকর হয়নি।
দ্বন্দ্বের নেপথ্য কারণ: আইন ও বিচার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনে অনুসন্ধান চালিয়ে কর্তৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বের নেপথ্যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ চিহ্নিত করা গেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, গত বছরের ২৭ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট থেকে অধস্তন আদালতের বিচারকদের পাঠানো একটি চিঠি। চিঠিটিতে বলা হয়, কখনও কখনও অধস্তন আদালতের বিচারকদের ফোনে বা অন্য কোনোভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়ে থাকে। এতে বিচারকরা অস্বস্তিতে থাকেন। এ প্রেক্ষাপটে চিঠিটিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে দেরি না করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য, ‘চিঠিটি উদ্দেশ্যমূলক। সরকারি সম্পত্তি রক্ষাসহ জাল-জালিয়াতির মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বিভিন্ন সময় মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট জেলা জজকে জানানো হয়। এটি প্রশাসনিক বিষয়। কিন্তু যে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে, তা কার্যকর করতে হলে বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এ ছাড়া দ্বন্দ্বের পেছনে দুই দফা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অন্যত্র সরানো এবং গত ১২ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ ছাড়া বিচারকদের শো-কজ না করা সংক্রান্ত আইন মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠিও উল্লেখযোগ্য।
পেশাজীবী সংগঠনেও বিভক্তি: বিচারকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সংগঠন জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনেও সরকার ও সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের কর্তৃত্বের দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়েছে। প্রতি বছর সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও ২০১০ সালের ৪ ডিসেম্বর সর্বশেষ সম্মেলন হয়। এর আগে সংগঠনের ব্যানারে বিচারকরা সরকার ও সুপ্রিম কোর্টের কাছে লিখিত প্রস্তাব পাঠাতেন; কিন্তু গত কয়েক বছর একাধিক উদ্যোগের পরও সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে দেখা দেওয়া আস্থাহীনতা দূর হয়নি।
একাধিক বিচারক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সংগঠনের কয়েকজন নেতার একগুঁয়েমি ও ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার প্রবণতায় সম্মেলন হচ্ছে না। ২০১৫ সালে সম্মেলন করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও মহাসচিব পদে মন্ত্রণালয় ও সুপ্রিম কোর্ট থেকে পৃথক প্রার্থী থাকায় তা ভেস্তে যায়। এ কারণে সদস্যদের মধ্যেও ক্ষোভ রয়েছে।’
বিশেষজ্ঞদের অভিমত: ‘কর্তৃত্বের দ্বন্দ্ব দুঃখজনক’ মন্তব্য করে বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট যা বলছে, সেটা আমাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে মেনে নিতে হয়। বিচার বিভাগকে স্বাধীন করার জন্য সংবিধানের যে বিধান সেটা অবশ্যই সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। এটা আর বিলম্বিত করা উচিত নয়।’
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় না হওয়া পর্যন্ত দ্বন্দ্ব থাকবেই। অবশ্য সচিবালয় না হওয়া পর্যন্ত আইন মন্ত্রণালয় যদি সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়, তবে এই দ্বন্দ্ব থাকবে না।’ দ্বন্দ্ব নিরসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিষয়গুলো জনগণের সামনে না আনলেই ভালো হতো; বরং প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে উভয়পক্ষের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।’
নির্বাহী ও বিচার বিভাগের মধ্যে টানাপড়েন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আছে মন্তব্য করে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘উভয়পক্ষের মধ্যে টানাপড়েন আছে বলেই গণতন্ত্র কার্যকর রয়েছে। চলমান টানাপড়েনকে কীভাবে সমঝোতার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা যায়, সে প্রচেষ্টা চালাতে হবে।’
এ ব্যাপারে আইনজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘অধস্তন আদালতের জন্য পৃথক সচিবালয় করার কথা বার বার বলা হচ্ছে; কিন্তু কোনো উদ্যোগ দেখছি না। যতদিন পৃথক সচিবালয় না হবে, ততদিন বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ পৃথকীকরণের আদেশ বাস্তবায়ন হবে না।’
বিচারপতি অপসারণ-সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল মামলার আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘কর্তৃত্বের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হওয়া সুখকর নয়। বিষয়টি জটিল হয়েছে বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও আইন সচিবের অনুপস্থিতিতে। তাদের অনুপস্থিতির যে ব্যাখ্যাই থাকুক, বিষয়টি বিচারকদের হতাশ করেছে।’ তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের দুই প্রধান অঙ্গের মধ্যে সমন্বয় সাধনে আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্যোগী হতে হবে। বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদার বলেন, ‘টানাপড়েনের বিষয়টি দুঃখজনক। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা দূর করতে হবে।’
অবশ্য এই সংকট বেশিদিন থাকবে না বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ নিয়ে আর সংকট হবে না। বিচার বিভাগ স্বাধীন করার জন্য সরকার যা যা করণীয়, তা করতে সচেষ্ট রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক।’
আবু সালেহ রনি/সমকাল
Discussion about this post