কর ফাঁকির অভিযোগে রাজধানীতে স্টার কাবাবসহ স্টার গ্রুপের ১১টি রেস্তোরাঁ ও আবাসিক হোটেলে একযোগে অভিযান চালিয়েছে মূসক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর থেকে শুরু হওয়া পৃথক অভিযানে মূসক গোয়েন্দার ১১টি দল অংশ নেয়। যা চলে বিকেল পর্যন্ত।
পরে বিকেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর সদস্য (মূসক) মো. রেজাউল হাসান এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, স্টার কাবাব ও রেস্তোরাঁ গ্রুপের রাজধানীর ধানমন্ডি, ওয়ারি, টিকাটুলি, এলিফ্যান্ট রোড ও ঠাঁটারি বাজার এলাকায় ১১টি রেস্তোরাঁ ও আবাসিক হোটেলে অভিযান চালানো হয়।
‘এরমধ্যে রয়েছে হোটেল স্টার প্রাইভেট লিমিটেড, হোটেল সুপার লিমিটেড, হোটেল সুপার স্টার লিমিটেড, স্টার কাবাব, স্টার হোটেল অ্যান্ড কাবাব, স্টার কাবাব অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ও স্টার হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট।’
রেজাউল হাসান বলেন, এ গ্রুপের রেস্তোরাঁ ও হোটেলের বিরুদ্ধে ভোক্তারা ভ্যাট ইন্টিলিজিন্সে পেইজে অনলাইনে ও টেলিফোনে ভ্যাট ফাঁকির কয়েকশ’ অভিযোগ করেন।
‘প্রাথমিকভাবে মূসক গোয়েন্দারা এর সত্যতাও পেয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতরের নেতৃত্বে ও ঢাকার বিভিন্ন ভ্যাট কমিশনারেটের ১৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সমন্বয়ে ১১টি টিম করা হয়। পরে একযোগে তারা অভিযান চালান এসব প্রতিষ্ঠানে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অভিযানে ভ্যাটের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জব্দ করা হয়। এটাই মূসক গোয়েন্দার নেতৃত্বে ভ্যাট ফাঁকির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযান।
স্টার হোটেল ও রেস্তোরাঁর মূসক চালানের পরিবর্তে নিজস্ব চালান ইস্যু, ইসিআর থাকা সত্ত্বেও চালান না দেওয়া, সাদা কাগজে বিল দেওয়া, মূল্য তালিকায় ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত না করাসহ ভ্যাট ফাঁকির অসংখ্য কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
অভিযানে এলিফ্যান্ট রোডস্থ স্টার হোটেল ও রেস্টুরেন্টের বেশ কিছু চালান ইস্যুর প্রমাণসহ হাতে নাতে ম্যানেজারকে আটক করেন কর্মকর্তারা।
একইভাবে ঠাঁটারিবাজার, ধানমন্ডি, বনানী, কারওয়ান বাজার শাখাতেও দৈনিক লাখ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার কাগজ জব্দ করা হয়।
রেজাউল হাসান বলেন, কেননা স্টার হোটেল ও কাবাবের মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলো কোটি কোটি টাকার ভ্যাঁট ফাঁকি দেওয়ার কারণে ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো ভ্যাট দেওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহিত হয় না।
তাই জব্দ কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ফাঁকি দেওয়া ভ্যাট উদঘাটন করার পর এ বিষয়ে মামলা করা হবে বলে জানান তিনি।
এ সময় মূসক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
Discussion about this post