যশোরের মণিরাপুরের চণ্ডিপুর গ্রামে কলেজছাত্র হেলালউজ্জামান হত্যা মামলায় স্কুলশিক্ষক এনাম আহম্মেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১২ জুন) বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ নিতাই চন্দ্র সাহা এ আদেশ দিয়েছেন। একই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এসএম বদরুজ্জামান পলাশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এসএম বদরুজ্জামান পলাশ জানান, যাবজ্জীবন ছাড়াও এনাম আহম্মেদকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও একবছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অন্য ৮ আসামিকে বেখসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত এনাম আহম্মেদ মণিরামপুর উপজেলার হানুয়ার গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে ও জোকা কমলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- আলমগীর হোসেন, রিপন হোসেন, আরিফুল ইসলাম লিটন, রিয়াজুল হক পান্না, মিলন হোসেন, শাহাদত হোসেন, জালাল উদ্দিন বিশ্বাস ও জিএম বাবু।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ১৫ এপ্রিল রাজগঞ্জ বাজারে চা খাওয়াকে কেন্দ্র করে খাঁ পাড়ার পলাশ ও বিশ্বাসপাড়ার রিপনের মধ্যে মারামারি হয়। পরদিন সকালে পলাশের স্বজনরা বিশ্বাসপাড়ার রিপনের বাড়িতে গিয়ে তাকে মারার কারণ জানতে চান। এসময় উভয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা এসে তাদের শান্ত করে। সকাল ৯টার দিকে চণ্ডিপুর গ্রামের হেলালউজ্জামান বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভানুর মোড় নামক স্থানে পৌঁছালে আসামিরা তার গতিরোধ করে কুপিয়ে জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় হেলালকে প্রথমে মণিরামপুর ও পরে খুলনায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ১৭ এপ্রিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই সামছুল হক মন্টু বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৬ জুলাই ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এনআই তরুণ কুমার কর।
Discussion about this post