বিডি ল নিউজঃ আজ বুধবার সুপ্রীম কোর্টে প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বেঞ্চ জাসদ নেতা কাজী আরেফসহ পাঁচজনকে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আনোয়ার হোসেন ও রাশেদুল ইসলাম ঝন্টুর রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন নিষ্পত্তি করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন। এর ফলে ওই দুইজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজ উদ্দিন ফকির। অপরদিকে আাসামিপক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। এ নিয়ে এ মামলায় মোট নয়জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জন পলাতক ও তিনজন কারাগারে রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কালিদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী আরেফসহ দুইজন হাসপাতালে মারা যান। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পর ২০০৪ সালের ৩০ আগস্ট কুষ্টিয়া জেলা জজ আদালত ১০ জনের ফাঁসি, ১২ জনের যাবজ্জীবন ও তিনজনকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। এরপর ডেথ রেফারেন্স ও ফৌজদারি আপিলের শুনানি করে ২০০৮ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট একজন ফাঁসির ও ১২ জন যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দেন। হাইকোর্টে খালাসপ্রাপ্ত সব আসামির বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল দায়ের করেন রাষ্ট্রপক্ষ। একই সঙ্গে কারাগারে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি রাশেদুল ইসলাম ঝন্টু, আনোয়ার হোসেন ও ইলিয়াস হোসেন ওরফে এলাছ খালাস চেয়ে লিভ টু আপিল করেন।
আবেদনগুলোর শুনানি শেষে ২০১১ সালের ৭ আগস্ট আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে উভয় পক্ষের আপিল নিষ্পত্তি করে দেন।এরপর আসামি রাশেদুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে রিভিউ আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার তাদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রিভিউ আবেদনটি নিষ্পত্তি করেন। তবে, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারটিও হয়ত আসামীপক্ষের আইনজীবীদের মাথায় রয়েছে। দেখার বিষয়, ক্ষমা চান কিনা চাইলেও বা রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করেন কিনা ?
Discussion about this post