নিজস্ব প্রতিবেদক: কারমাইকেল কলেজ ছাত্রসংসদ নির্বাচন (কাকসু) করতে না পারার ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ও রেজিস্ট্রার, কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কলেজটির পাঁচ শিক্ষার্থীর করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এএইচ ইমাম হাসান।
আদালতে রিট আবেদন করেন কারমাইকেল কলেজের ছাত্র ওসমান গণি, মো. আবু নাঈম আলিফ, সাফায়েত রহমান, মো. তাহা ইয়াসিন দীপ্ত, মো. সোহেল রানা প্রিন্স। রিট আবেদনে বলা হয়, ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া কলেজটিতে এইচএসসি, অনার্স ও মাস্টার্সে বর্তমানে ২৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন।
সর্বশেষ ১৯৯০ সালে কারমাইকেল কলেজ ছাত্রসংসদ (কাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর গত ২৯ বছরে আর কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। কিন্তু ছাত্রসংসদের ফান্ডের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি নেয়া হয়। এরই মধ্যে নির্বাচন চেয়ে শিক্ষার্থীরা সভা সমাবেশও করেছেন।
কিন্তু গত ২৯ বছরে কর্তৃপক্ষ সুবিধাজনক সময় বের করে নির্বাচন করতে পারেনি। শুধু চলতি বছরের ২৫ মার্চে একটি কমিটি গঠন করেছে।
এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচন হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জাকসু) নির্বাচনেরও কার্যক্রম নেয়া হয়েছে।
Discussion about this post