ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। চানখারপুল থেকে নাজিমউদ্দিন রোড পর্যন্ত এলাকায় যান চলাচল সীমিত করা হয়েছে। নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কারাগারের আশপাশের আবাসিক ভবনগুলোর ছাদেও অবস্থান নিয়েছেন।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের দণ্ডকে কেন্দ্র করে বাড়তি এই নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। এ দুই অপরাধী নিজের অপরাধের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন কি না ইতোমধ্যে তা তাদের কাছে জানতে চেয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। এর জবাবে সাকা-মুজাহিদের পক্ষ থেকে সরাসরি হ্যাঁ বা না কোনো জবাব এখনো আসেনি। তারা যদি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চান এবং চাওয়ার পর যদি ক্ষমা না পান তবে আইন অনুযায়ী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে যেকোনো সময় দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কার্যকর করতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ।
শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে থেকে আমাদের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ইমরান আলী জানান, কারাগারের সামনে বিপুল সংখ্যক র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে পুলিশের সাঁজোয়া যানও দেখা গেছে। পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মফিজ উদ্দিন আহমেদ ইতোমধ্যে নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে গেছেন বলেও জানান তিনি।
সব মিলিয়ে বলা যায়, কারাগারের সামনে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিসীন সদস্যরা।
সকাল পৌনে ১০টার দিকে দুজন ম্যাজিস্ট্রেটও ঢুকেছেন কারাগারে।
কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের অংশ হিসাবে সেখানে থাকা গুরুত্বপূর্ণ বন্দিদের সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাৎ প্রক্রিয়া সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে সাধারণ কয়েদীদের সঙ্গে আগের মতোই দেখা করতে পারছেন তাদের স্বজনরা।
Discussion about this post