নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ধারণ ক্ষমতা ৪০০ জনের। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পবিত্র ঈদ-উল আযহার দিন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ কারাগারে বন্দি সংখ্যা তিন গুণ বেড়ে রয়েছেন এক হাজার ৫১০ জন।
তাদের মধ্যে ৪৬ জন নারী। আর কারাবন্দি মায়ের সঙ্গে এক থেকে ছয় বছরের কম বয়সী ছয়জন শিশুর ঈদও কেটেছে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে।
ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে প্রতিবারের মতো জেল কর্তৃপক্ষ এ বছরও বন্দিদের জন্য বিশেষ আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে। তাদের জন্য করা হয়েছে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা। বন্দিদের আত্মীয়রাও এসে দেখা করেছেন তাদের সঙ্গে। তারা দিয়েছেন তাদের মন পছন্দের খাবার।
ঈদের দিন থেকে তিনদিন পর্যন্ত বন্দিদের স্বজনেরা বাসা থেকে রান্না করা খাবার দিতে পারবেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার আসাদুর রহমান বলেন, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে কোনো ভিআইপি বন্দি নেই। সাধারণ বন্দি রয়েছেন ১ হাজার ৫১০ জন। যাদের মধ্যে ৪৬ জন নারী। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৯টায় বন্দিরাসহ কারারক্ষী-কর্মকর্তারা ঈদের জামাতে অংশ নেন।
বন্দিদের সবাইকে সকালের খাবারের মেন্যুতে দেওয়া হয়েছে পায়েশ ও মুড়ি। দুপুরে দেওয়া হয়েছে পোলাও গরুর মাংস, সালাদ, মিষ্টি, ও কোমল পানীয়। আর ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জন্য ব্যবস্থা ছিল মুরগির মাংসের। রাতে দেওয়া হবে ভাত ও মাছ এবং আলুর ভর্তা।
আসাদুর রহমান আরও বলেন, ঈদ উপলক্ষে বন্দিদের আত্মীয়দের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দিনভর বন্দিদের আত্মীয়রা এসে তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন।
এছাড়াও আত্মীয়দের বাসা থেকে রান্না করে আনা খাবারও খাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ঈদের তৃতীয় দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বন্দিরা আত্মীয়দের সঙ্গে সাক্ষাত ও রান্না করা খাবার দিতে পারবেন বলে জানান জেলার আসাদুর রহমান।
আসাদুর রহমান আরো বলেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে যেসব মালামাল কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করছে সেগুলো তল্লাশি করা হচ্ছে। তল্লাশি ছাড়া এমনকি খাবারও ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়াও ঈদের সময় দেখা করার জন্য যে চাপ পরে তা কমাতে ২০ মিনিটের দেখা করার নিয়ম ১০ মিনিটে নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়াও আত্মীয় ছাড়া অন্যদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনিতে কারাগারের পরিবেশ ভালো রয়েছে।
Discussion about this post