শারীরিক অসুস্থতার কারণে নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানিতে আগামীকাল বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আদালতে হাজির হবেন না এ মামলার আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে কাল ১৭ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে। মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন।
সানাউল্লাহ মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, এ মামলায় হাইকোর্টে বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার রিট খারিজের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিচারাধীন রয়েছে। আর তিনি সুস্থও নন। এ কারণে আদালতে তাঁর পক্ষে সময় আবেদন করব।
এর আগে গত বছরের ৩০ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৯-এ আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন খালেদা জিয়া।
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার করা রিট আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় গতকাল প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের এই রায়ের কপি পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে খালেদা জিয়াকে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন। আসামিপক্ষ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করলে হাইকোর্ট ওই বছরের ৯ জুলাই এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন এবং রুল দেন। প্রায় সাত বছর পর গত ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি করেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সাংসদ এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
Discussion about this post