সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ তিনবার পেছানোর পর অবশেষে সাক্ষ্য দিলেন আব্দুর রউফ ও ইরফান আলী নামে দুই ব্যক্তি।
বুধবার (০৪ নভেম্বর) অধিকাংশ আসামি আদালতে উপস্থিত না থাকায় এই দুই সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ করেননি আদালতের বিচারক। এ নিয়ে আলোচিত এ মামলায় ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদালতের পিপি কিশোর কুমার কর।
এর আগে অধিকাংশ আসামিদের অন্য আদালতে হাজিরা থাকায় এ আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। যে কারণে সাক্ষ্যগ্রহণ তিন দফা পিছিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সিলেট সিটি করপোরেশনের বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক ছাড়া কারান্তরিন ১৩ জন ও জামিনে থাকা ৮ আসামির সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
১১ ও ১২ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের পিপি কিশোর কুমার কর।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান ওই রাতেই হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেন।
তিন দফা তদন্তের পর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আরিফুল, গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে ৩২ আসামির বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেন। হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহ মামলাটি বিচারের জন্য গত ১১ জুন সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করেন।
Discussion about this post