২২ বছর আগে রংপুরের মিঠাপুকুরে এক কিশোরীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই ঘটনায় ওই কিশোরীর চাচিকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করায় একই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবু জাফর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত শফিউদ্দিনের (৩০) বাড়ি মিঠাপুকুর উপজেলার খামারকুর্শা গ্রামে। তিনি পলাতক রয়েছেন।
আসামি ওই জরিমানা না দিলে তাকে আরও একবছর কারাভোগ করতে হবে বলে এ আদালতের অতিরিক্ত পিপি আখতারুজ্জামান পলাশ জানিয়েছেন।
মামলার নথিতে বলা হয়, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ১৯৯৫ সালের ১২ জুলাই শফিউদ্দিন খামারকুর্শা গ্রামের সোলেমান মিয়াকে হত্যা করতে তার বাড়িতে যান। সোলেমানকে না পেয়ে তার বড়ভাই আমিন মিয়ার মেয়ে ১৩ বছর বয়সী আম্বিয়া খাতুনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি।
এ সময় আম্বিয়াকে বাঁচাতে সোলেমানের স্ত্রী আছেমা খাতুন এগিয়ে গেলে শফিউদ্দিন তাকেও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ আনা হয় মামলায়।
ওই রাতেই শফিউদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মিঠাপুকুর থানায় হত্যা মামলা করেন সোলেয়মান মিয়া।
তদন্ত শেষে মিঠাপুকুর থানার এসআই মফিজ উদ্দিন ১৯৯৬ সালের ১৯ জুলাই কেবল শফিউদ্দিনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
Discussion about this post