কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দু’পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা খালিদ সাইফুল্লাহ নিহত ও বিশ্বদ্যিালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আবাসিক হলগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে।
আজ সোমবার (০১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, বঙ্গবন্ধু ও কবি নজরুল ইসলাম হলে এ তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।
কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ওই দুই হল থেকে গুলিভর্তি ম্যাগাজিন, বন্দুকসহ এক বস্তা দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া দেশিয় অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দা, রামদা ও ছুরি। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক কুণ্ডু গোপীদাসকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, প্রক্টর অধ্যাপক আইনুল হক ও ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা আহসান উল্লাহ।
এর আগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোকে কেন্দ্র করে ১ আগস্ট প্রথম প্রহরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা খালিদ সাইফুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
খালিদ সাইফুল্লাহ মার্কেটিং বিভাগের সেভেন সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ও কবি নজরুল হলের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ছাত্রদের বেলা ১১টা ও ছাত্রীদের দুপুর ২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার উপাচার্য মো. আলী আশরাফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
Discussion about this post