কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কুমিল্লার একটি আদালতে মানহানির মামলা করেছেন প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন। রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারিক এম. শাহনেওয়াজ মনিরের আদালতে কুবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোহাম্মদ আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানকে আসামি করে মানহানি মামলাটি করা হয়।
কুমিল্লা জজকোটের অ্যাডভোকেট স্বর্ণকমল নন্দী পলাশ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কুবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কুবি পরিবহন কমিটির আহ্বায়ক প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন মামলায় অভিযোগ করে বলেন, গত ২৯ নভেম্বর জাতীয় ও কুমিল্লার স্থানীয়সহ বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় ‘স্বাক্ষর জালিয়াতি করে কাটা হলো শিক্ষকদের এক দিনের বেতন’ এবং ‘ত্রাণের নামে শিক্ষকদের অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা’ এমন শিরোনামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করা হয় আমার এবং মামলার এক নম্বর সাক্ষী কুবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও আসবাবপত্র ক্রয় কমিটির আহ্বায়ক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দীর বিরুদ্ধে। আসামিপক্ষের এমন সংবাদে আমাদের মানহানি হয়েছে, যা অপূরণীয় ক্ষতি। ওই সংবাদ প্রকাশের পর স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে আমাদের কারণ দর্শানো নোটিশ দেয় কুবি শিক্ষক সমিতি। এরপর আবারও আসামিরা জাতীয় ও কুমিল্লার স্থানীয়সহ বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকার মাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশ করে। আসামিরা খারাপ উদ্দেশ্যে প্রকাশিত নিউজগুলো ফটোকপি করে সাধারণ শিক্ষার্থী, কর্মচারীসহ সাধারণ জনগোষ্ঠীর কাছে বিলি করে। কুবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এমন অপপ্রচারে আমদের দুই শিক্ষকের মানসম্মান নষ্ট হয়েছে।
কুবি শিক্ষক সমিতির বিরুদ্ধে করা মানহানি মামলায় সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন কুবি শিক্ষক সমিতি ২০১৫ এর সাবেক সভাপতি ও আসবাবপত্র ক্রয় কমিটির আহ্বায়ক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী, কুবি ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জি.এম আজমল আলী কাউছার, কুবি একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শুভব্রত সাহা, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আকবর হোসেন, গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ, পরিসংখ্যান বিভাগের প্রভাষক মো. ফরহাদ হোসেন, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মো. জুলহাস উদ্দিন।
Discussion about this post