রাজধানীর বেইলি রোডে ছয়তলা থেকে ফেলে দেয়ার পরও অলৌকিভাবে বেঁচে যাওয়া নবজাতকটি অবশেষে চলেই গেল। লজ্জার হাত থেকে ‘বাঁচিয়ে’ গেল তার মাকে, সমাজকে।
গতকাল বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে শিশুটি মারা গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ক্যাম্প ইনচার্জ মোজাম্মেল হক। শিশুটি ঢামেকের এনআইসিইউর ২১১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বেইলী রোডের বাসায় সে নিজেই সন্তান প্রসব বিউটি আক্তার নামে এক গৃহকর্মী। প্রসবের পর জানাজানির ভয়ে নিজের সন্তানকে ৬ তলা থেকে ছুড়ে ফেলে দেয়। তবে অলৌকিকভাবে শিশুটি দ্বিতীয় তলার কার্নিশে আটকে বেঁচে যায়। পরে দুপুরে স্থানীয়দের খবরের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ নবজাতকটিকে উদ্ধার করে মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আর সেই কিশোরী মাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসাধীন বিউটি আক্তার জানায়, তার বাবার নাম আবু বকর প্রামাণিক। গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার নওকর গ্রামে। ঢাকায় বেইলী রোডের ২৬ নম্বর প্রোপার্টিজ মেনশনের ৬ তলায় আজমল হক ও ফিরোজা হকের বাসায় ৯ বছর ধরে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করছে।
৯ থেকে ১০ মাস আগে কুমিল্লায় বড় বোন লিপি আক্তারের বাসায় বেড়াতে যায় বিউটি। সেখানে তার বোনের স্বামী নীরব ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এতে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। কিন্তু এ কথা তিনি কাউকে জানতে দেননি।
Discussion about this post