কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আবদুল হালিম (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত আবদুল হালিম ডাকাত দলের সর্দার। সে বুড়িচংয়ের বাজেবাহেরচর গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে। তার বিরুদ্ধে কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে। এ সময় গ্রেফতার করা হয়েছে আরও দুজনকে। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের ওসিসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে বুড়িচংয়ের কংশনগরে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভলবার, এক রাউন্ড গুলি, দুইটি ধারালো ছুরি, একটি রামদা, একটি রড ও চারটি মুখোশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জাকির হোসেন (৩৬) দেবিদ্বার উপজেলার জারু মিয়ার ছেলে ও লিমন সরকার (২৫)একই উপজেলার ধামতি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক সড়কের বুড়িচংয়ের কংশনগর বাজারের কাছে বিশেষ অভিযানে যায় ডিবি পুলিশের তিনটি দল। এসময় তারা জানতে পারেন- ওই উপজেলার কংশনগর এলাকার একটি ইটভাটার সামনে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে ১৪/১৫ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল সংঘবদ্ধ হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতে পুলিশ সমবেত হয়ে রাত ২টার দিকে ওই এলাকায় অভিযান চালায়।
এ সময় ডাকাত দল তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি করলে হালিম গুলিবিদ্ধ হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের ওসি নাসির উদ্দিন মৃধা, কনস্টেবল আবদুল্লাহ ও সাইফুল আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
Discussion about this post