কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে মঈনুদ্দিন বিশ্বাস নামে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত মঈনুদ্দিন বিশ্বাস ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিমের বাবা।
রবিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলার পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোটের পর থেকে তাদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এরই জের ধরে রবিবার ভোরে গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে কয়েকশ কর্মী সমর্থক দেশীয় অস্ত্র লাঠিসোটা নিয়ে আব্দালপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আলী হায়দার স্বপনের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন মঈনুদ্দিন। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উত্তেজনা নিরসনে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মঈনুদ্দিনের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল রানা বলেন, তার বাবা ইউপি চেয়ারম্যান আলী হায়দার চেয়ারম্যানের পক্ষের লোক। সংঘর্ষের একপর্যায়ে তার বাবা গ্রামের বটতলা এলাকায় একা হয়ে পড়েন। প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
উল্লেখ্য, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তাফার সঙ্গে একই ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান আলী হায়দারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। তাদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে আগেও কয়েকবার পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
Discussion about this post