নিম্নলিখিত তিনজন লোক মীরাস হইতে বঞ্চিত হইবে।
ক. হত্যাকারী নিহত ব্যক্তির মীরাস লাভ করিতে পারিবে না। নবী করিম (স:) বলিয়াছেন: হত্যাকারী নিহত ব্যক্তির মীরাস লাভ করিবে না।
খ. ধর্মের বিভিন্নতার দরুন একজন অপরজনের মীরাস হইতে বঞ্চিত হইবে। বুখারী শরীফের একটি হাদিসে স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করা হইয়াছে: মুসলমান ব্যক্তি কাফিরের এবং কাফির ব্যক্তি মুসলিমের উত্তরাধিকার লাভ করিতে পারিবে না। কোন মুসলমানের ওয়ারিস মুর্তাদ হইয়া গেলে সেও তাহার সম্পত্তির অংশ পাইবেন। ইমম নবী লিখিয়াছেন: ‘মুর্তাদ মুসলমানের অংশীদার হইবে না, ইহাতে সকল বিশেষজ্ঞ সম্পূর্ণ একমত।’
তাহা হইলে তাহার অংশ কি করা হইবে? এ বিষয়ে ফিকাহবিদদের মধ্যে মতভেদ রহিয়াছে। কেহ বলিয়াছেন, উহা অবশ্যি অংশীদারদের মধ্যে বন্টন করা হইবে। আর কেহ বলিয়াছেন, উহা বায়তুলমালে জমা হইবে।
দেশ বা রাজ্যের বিভিন্নতার দরুনও এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির মীরাস লাভ হইতে বঞ্চিত হইতে পারে। বর্তমান আন্তর্জাতিক আইনের সহিত ইহার সমঞ্জস্য রহিয়াছে। ইসলামি রাজ্যের ধন-সম্পত্তি যাহাতে কাফির রাজ্যে স্থানান্তরিত হইতে না পারে সেই উদ্দেশ্যেই এই আইন বিধিবদ্ধ করা হইয়াছে কিন্তু কেহ অস্থায়ীভাবে পর্যটন কিংবা ব্যবসায় বাণিজ্যের উদ্দেশ্য রাজ্যের বাহির চলিয়া গেলে, তাহার উপর মীরাস হইতে বঞ্চিত হওয়ার এই আইন প্রয়োজন হইবে না।
সুতরাং উপরোক্ত আলোচনায় বলা যায় যে, সুন্নি আইনে কেউ যদি কাউকে হত্যা করে তবে নিহত ব্যক্তির সম্পত্তিতে হত্যাকারী উত্তরাধিকার পাবে না। শিয়া আইন: শিয়া আইনে অন্যায় ও ইচ্ছাকৃতভাবে নর হত্যা না করিলে কোন ব্যক্তি মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার হইতে বঞ্চিত হইবেন। সঠিকভাবে বা ভুলে কাহাকেও হত্যা করিলে সে ঐ ব্যক্তির মিরাস হইতে বঞ্চিত হইবে না।
Discussion about this post