তবে, এবার জন্মদিনের প্রথম প্রহরে কেক কাটেননি বিএনপি প্রধান। পিছিয়ে সন্ধ্যায় কেক কাটবেন বললেও কাটলেন রাত সোয়া ৯টার দিকে। ১৯৯৬ সাল থেকে এ জন্মদিন উদযাপনে এবারই প্রথমবারের মতো দিনের শেষ প্রহরে কেক কাটলেন খালেদা।
শনিবার (১৫ অগাস্ট) রাত সোয়া ৯টায় বিএনপি চেয়ারপারসন তার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে কেক কেটে এ জন্মদিন উদযাপন করেন।
খালেদা জিয়া প্রথমে কাটেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নিয়ে আসা কেকটি। এরপর ক্রমান্বয়ে কাটেন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান ‘কুপারস’ থেকে ছাত্রদলের নিয়ে আসা ৭০ পাউন্ড ওজনের কেক, বেইলি রোডের ঐতিহ্যবাহী কেক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘সুইস’ থেকে যুবদলের নিয়ে আসা ৭০ পাউন্ড ওজনের কেক, ঢাকা মহানগর বিএনপির নিয়ে আসা একই রকম আরেকটি কেক এবং ‘মি. বেকার’ থেকে স্বেচ্ছাসেবক দলের নিয়ে আসা ৭০ পাউন্ড ওজনের কেকটি।
কেন্দ্রীয় বিএনপির কেক খালেদা জিয়া কাটেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে সঙ্গে নিয়ে। ছাত্রদলের কেকটি তিনি কাটেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আকরামুল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে। ঢাকা মহানগর বিএনপির কেক কাটেন শাখার সভাপতি মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক হাবিব উন নবী খান সোহেলকে সঙ্গে নিয়ে। যুবদলের কেক কাটেন সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে সঙ্গে নিয়ে। সববেশেষ স্বেচ্ছাসেবক দলের কেক কাটেন সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলকে সঙ্গে নিয়ে।
কেক কাটার সময়ে জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাস‘র আয়োজনে জন্মদিনের সংগীত পরিবেশন করা হয়। মুন্সী ওয়াদুদের কথা ও ইথুন বাবুর সুরে গানটিতে কণ্ঠ দেন জাসান নেতা মনির খান।
এর আগে, ৯টা ১০ মিনিটে কার্যালয়ে এসেই ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক নেসারুল হকের পরিচালনায় দোয়ায় অংশ নেন বিএনপি প্রধান।
Discussion about this post