কেন্দ্রীয় কারাগারের আশপাশে নিম্ন আদালত রাখা উচিত বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তাই ঢাকা মহানগর নিম্ন আদালত কেরানীগঞ্জে স্থানান্তর করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনে গিয়ে আজ সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, কেন্দ্রীয় কারাগারের আশপাশে আদালত না থাকায় অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। কারণ আমরা দেখেছি কারাগার থেকে আনা নেওয়া করতে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এজন্য দুর্ধর্ষ আসামিদের আদালতে আনা খুই ঝুঁকিপূর্ণ। এজন্য কারাগারের পাশে নিম্ন আদালত থাকলে এ ঝুঁকিটা থাকবে না।
তিনি বলেন, ঢাকার নিম্ন আদালত স্থানান্তরের বিষয়ে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি এতে সম্মত হয়েছেন। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না এরপরও নিম্ন আদালতে একটি নতুন ভবন নির্মিত হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে প্রধান বিচারপতিতে নানা বিষয়ে অবগত করেন সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির। তিনি প্রথমে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জে আসামিদের নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তোলে ধরেন।
বর্তমানে নতুন কারাগারে কতোজন আসামির ধারণ ক্ষমতা রয়েছে তা ব্যাখ্যা করেন। এছাড়া নতুন কারাগারের বিভিন্ন সমস্যার বিষয় তোলে ধরেন। কারাগারের সীমানায় দেয়াল না থাকায় কারারক্ষীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তার সঙ্গে একমত পোষণ করে আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেন, আমাদের কারাগারে গ্যাস না থাকায় প্রতিদিন কয়েক টন লাকড়ি পুড়িয়ে আসামিদের জন্য রান্না করা হচ্ছে। এছাড়া লাকড়ি রাখার কোনো গোডাউন নেই।
তিনি সংশয় প্রকাশ করে বলেন, আসামিরা যেকোনো সময় লাকড়ি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। এজন্য বিষয়টি নিয়ে আমাদের সারাক্ষণ সংশয়ের মধ্যে থাকতে হয়।
কারাগার পরিদর্শনে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে চারজন রেজিস্ট্রার রয়েছেন। তাদের নিয়ে কারাগার ঘুরে দেখছেন এবং কয়েদিদের সঙ্গে কথা বলছেন।
কারাগারে যাওয়ার পর প্রধান বিচারপতিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন।




Discussion about this post