চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির গ্রেপ্তার ও কারাগারের যাওয়ার বিষয়টিকে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে অাখ্যা দিয়ে তার পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন।
সোমবার দুপুরে ফোনে সাথে আলাপকালে একথা জানান ছাত্রলীগের শীর্ষ এ নেতা।
জাকির হোসাইন বলেন, ‘রনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যে কয়েকজন আলোকিত ও উদ্যমী নেতা রয়েছে তাদের মধ্যে সে সেরাদের সেরা। ছাত্রদের অধিকার আদায়ের অান্দোলন থেকে শুরু করে সব প্রগতিশীল অান্দোলনে রনি ছিল অগ্রগামী। তার সৎ ও মোহনীয় নেতৃত্ব গুণে সে চট্টগ্রামের ছাত্র সমাজের হৃদয়ে যেমন স্থান করে নিয়েছিলেন, তেমনি কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছিল। সেই সাথে মৌলবাদী জামাত-শিবিরতো তার চির শত্রু হিসেবে রয়েছেই।’
‘রনিকে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে যে পিস্তল দিয়ে আটক করা হয়েছে সেটি নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। তাকে আটক প্রক্রিয়া ও পরবর্তী ব্যবহারের দিকে খেয়াল করলে বুঝা যায় এটি পূর্ব পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক। আর যে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে আটকের নির্দেশ দিয়েছিলেন তার ছাত্র জীবনের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে নানা কথা শুনা যাচ্ছে।’
জাকির আরো বলেন, ‘যেহেতু রনির মুক্তির বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়া আটকে গেছে। তাই আমরা সেই পথেই এগুচ্ছি। আমরা আশা করছি অতি দ্রুত রনি মুক্তি পেয়ে চট্টগ্রামের ছাত্র সমাজের মাঝে ফিরে আসবে। আমরা রনির পাশে অাছি, পাশে থাকব, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় কমিটি রনির সাথে আছে।’
তিনি একই সাথে সংগঠনের শীর্ষ নেতা রনির আটক নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্যকারীদের কড়া হুশিয়ারি দেন।
গতকাল রোববার থেকে ছাত্রলীগ নেতা রনির মুক্তি দাবি করে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে নানা শ্রেণী পেশার মানুষজন ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ইতিবাচক মন্তব্য করে যাচ্ছেন। শনিবার রাত থেকে তার সহকর্মীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রনির মুক্তির দাবিতে।
উল্লেখ্য, হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলাকালে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে শনিবার দুপুরে মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া বোর্ড স্কুল কেন্দ্রের বাইরে থেকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুনুর রশিদ নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে নগর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নূরুল আজিম রনিকে আটক করে। পরে তাকে তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার ভোরে তাকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে হস্তান্তর করেছে হাটহাজারী থানা পুলিশ।
Discussion about this post