রাজধানীর শ্যামলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে কেয়ার হাসপাতালসহ চারটি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ২৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ, অগ্রিম সই করে রাখা পরীক্ষার রিপোর্ট এবং অনিবন্ধিত ও নকল ওষুধ রাখার অপরাধে এসব প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ঢাকা ট্রমা সেন্টার ও ইসলাম ডায়াগনস্টিক সেন্টার। জরিমানার টাকা তাৎক্ষণিক আদায় করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যারের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।
জানা গেছে, রবিবার দুপুরে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন র্যাব-২ এর উপ-পরিচালক মো. মাহবুব আলম ও এএসপি মো. শাহিদার রহমান; স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা. মো. শাহজাহান ও ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের ড্রাগ সুপার মো. রাজিবুল হাবিব।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, কেয়ার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট দ্বারা বিভিন্ন ধরনের রোগ নির্ণয় করা ও অত্যন্ত নোংরা পরিবেশে ল্যাব পরিচালনা করায় ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও পপুলার মেডিসিন কর্ণারে অবৈধভাবে আমদানিকৃত বিপুল পরিমাণ উচ্চমূল্যের রেজিস্ট্রেশনবিহীন বিদেশি ওষুধ পাওয়ায় ৫ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ (তিন) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, গত মে মাসেও একবার পপুলারে অভিযান চালিয়েছিলাম। এরপর ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মান বাড়ানো হয়েছে। তবে তাদের কাছে প্রচুর অনিবন্ধিত ও নকল ওষুধ পাওয়ায় জরিমানা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ঢাকা ট্রমা সেন্টারে ডায়ানস্টিক টেস্টের জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট ব্যবহার, অপরিচ্ছন্ন মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব, অপারেশন থিয়েটার কক্ষটি নোংরা অবস্থায় পাওয়া, রি-এজেন্ট রাখার ফ্রিজের মধ্যে তেলাপোকাসহ মৃত পোকামাকড় থাকা, ফ্রিজের টেম্পারেচার সঠিক না থাকা এবং ল্যাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেকনিশিয়ান না থাকার কারণে তাদের ৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
আর ইসলাম ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযানকালে সেখানেও মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট ব্যবহার করতে দেখেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও ল্যাবের ফ্রিজের তাপমাত্রার রিডিং সঠিক না থাকা, ল্যাব ফ্রিজের মধ্যে ব্লাড, টিস্যু, মিডিয়া কালচার সামগ্রী রাখাসহ ডাক্তার ছাড়াই রিপোর্টে আগাম স্বাক্ষর রাখার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিকে ৬ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে আদালতের কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করায় মো. নাজিমুদ্দিন ভুইয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে র্যাব।
Discussion about this post