চট্টগ্রামে তরল কোকেন আনার আলোচিত মামলার স্থগিত করা হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে আগামী ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি ও আসামি নূর মোহাম্মদকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
এর আগে গত ৮ অক্টোবর (রোববার) আলোচিত এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ (৩১ অক্টোবর, মঙ্গলবার) আপিল বিভাগ ওই রায় স্থগিত করায় মামলা কার্যক্রম চলবে বলে জানান আইনজীবী।
উল্লেখ্য, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৫ সালের ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে থাকা একটি কনটেইনার আটক করে সিলগালা করে দেয় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর। পরে পরীক্ষা করে তাতে তরল কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া যায় এবং ২৮ জুন বন্দর থানায় নূর মোহাম্মদ ও সোহেলকে আসামি করে মাদক আইনে একটি মামলা করে পুলিশ। আদালত মামলায় চোরাচালানের ধারা যুক্ত করার নির্দেশ দেন।
২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন সহকারী কমিশনার কামরুজ্জামান মাদক আইনের মামলায় আটজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন। কিন্তু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম বাদ দেওয়ায় আদালত ওই অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে পুলিশের বদলে র্যাবকে দিয়ে তদন্ত করান।
অধিকতর তদন্ত করে চলতি বছর ৩ এপ্রিল নূর মোহাম্মদসহ ১০ জনকে আসামি করে মাদক মামলায় সম্পূরক অভিযোগ দেয় র্যাব। সেখানে বলা হয়, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক নূর মোহাম্মদের জ্ঞাতসারেই ভোজ্যতেলের মাধ্যমে তরল কোকেন আনা হয়েছিল।
আদালতের আদেশ পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ২৬ সেপ্টেম্বর অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটির তদন্তভার র্যাবের হাতে দেয়। কিন্তু প্রথম দফায় সরকারের আদেশ পাওয়ার আগেই র্যাব মামলার তদন্ত চালায় অভিযোগ করে খানজাহান আলী লিমিটেডের মালিক গত ৪ অক্টোবর হাইকোর্টে আবেদন করেন। পরদিন শুনানি করে আদালত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশের অনুলিপি দাখিলের নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ী রাষ্ট্রপক্ষ সেসব নথি উপস্থাপন করলে গত ৮ অক্টোবর আদালত মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন।
Discussion about this post