বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, কোরবানীর ঈদে পশুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। তিনি বলেন, তেল, পেঁয়াজ, রসুন, লবন, আদাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বাজারে সরবরাহও স্বাভাবিক রয়েছে। সরবরাহ অব্যাহত রাখতে যাতে কোন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিগত রমজানের ঈদে যেমন বাজার স্থিতিশীল ছিল, সামনের কোরবাণীর ঈদেও পণ্য মূল্য স্বাভাবিক থাকবে। সোমবার রাজধানীর কাওরান বাজারে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সম্মেলন কক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর সরবরাহ এবং মূল্য স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা, উৎপাদনকারী, পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ী এবং আমদানিকারকদের সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানিকারক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন যে বাজারের চাহিদার চেয়ে বেশি পণ্য এখন মজুত রয়েছে। এ সকল পণ্যের সংকট বা মূল্য বৃদ্ধি হবে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান। তোফায়েল আহমেদ বলেন, আসন্ন কোরবানীর ঈদে কোরবানীর গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ার সংকট হবে না। চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানীর পশু দেশে মজুত রয়েছে। সরকার দেশী খামারে গবাদী পশুর উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশেই এখন প্রচুর কোরবানীর পশু উৎপাদন হচ্ছে। আগামীতে চাহিদা পূরণের পর বাংলাদেশ বিদেশে পশু রফতানি করতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, প্রতিবেশি দেশে পেঁয়াজের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে দেশের অভ্যন্তরে দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পেঁয়াজ আমদানির জন্য গৃহীত ঋণের সুদহার কমিয়ে ১১ শতাংশ করা হয়েছে। অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি মজুতের বিরুদ্ধে সরকার বাজার মনিটরিং জোরদার করেছে। তিনি আরো বলেন, প্রতিবেশি অন্যান্য দেশ থেকে পেয়াঁজ আদানির ফলে দাম ইতোমধ্যে অনেক কমেছে। কয়েকদিনের মধ্যে মূল্য স্বাভাবিক হয়ে আসবে। আতংকিত হবার কোন কারন নেই। বাজারে এখন চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি পেয়াঁজ রয়েছে। দেশে পেয়াঁজের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করবে। সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমেদ, সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান, টিকে গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ কামাল, মেঘনা গ্রুপের মোস্তফা কামালসহ আমদানিকারক, পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post