গৃহকর্মী হ্যাপীকে নির্যাতনের অভিযোগে ক্রিকেটার শাহাদাত তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চলমান মামলায় সাক্ষ্য দিতে সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক, ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
রোববার (২৪ এপ্রিল) এ মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আদালতে কোনো সাক্ষি না আসায় মামলার রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পিপি আলী আসগর স্বপন সাক্ষি হাজিরের জন্য সময়ের আবেদন করেন। তবে এদিন মামলার আসামি ক্রিকেটার শাহাদাত ও তার স্ত্রী নিত্য আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
শুনানি শেষে ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানজীনা ইসমাইল সাক্ষি উপস্থিত করতে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন। একইসাথে আগামি ২৫ মে সাক্ষ্য দিতে মামলার বাদি সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও ঢাকার সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৪(২)/খ ধারায় শাহাদাত ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।
২০১৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে রাজধানীর কালশী থেকে নির্যাতনে মারাত্মক আহত হ্যাপীকে উদ্ধার করে পল্লবী থানা পুলিশ। একইদিন বিকেলে শাহাদাত মিরপুর থানায় তার বাসার গৃহকর্মী হারিয়েছে বলে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।
রাতে সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে ক্রিকেটার শাহাদাত ও তার স্ত্রী নিত্যকে আসামি করে মিরপুর মডেল থানায় নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন।
ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে শাহাদাত ও নিত্যের বিরুদ্ধে মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শফিক আহমেদ। গত ৪ ফেব্রুয়ারি চার্জশিট আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর দিনগত রাতে মালিবাগের পাবনা গলিতে তার বাবার বাড়ি থেকে নিত্যকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। আদালতের অনুমোদনক্রমে তাকে তিনদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে ১ ডিসেম্বর নিত্যকে জামিন দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত।
অন্যদিকে শাহাদাত গত বছরের ৫ অক্টোবর সকালে ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। এ আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন আদালত। আদালতের নির্দেশে ৮ অক্টোবর থেকে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। পরে ৮ ডিসেম্বর শাহাদাতের জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট।
Discussion about this post