একাদশে ভর্তির জটিলতা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের ‘ক্ষমা চাওয়া’কে ‘ইতিবাচক’ হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করেন, ভুল স্বীকারের সংস্কৃতি দেশের সব ক্ষেত্রেই চালু হওয়া দরকার। একই সাথে ভবিষ্যতে যেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন জটিলতার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলেছেন তারা।
রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও জাতির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি এটাকে ‘উন্নয়নের বেদনা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া একটি ‘ব্যাপক’ কর্মযজ্ঞ। তথ্যপ্রযুক্তির সক্ষমতা ও দক্ষতার অভাবেই এই ত্রুটি হয়েছে। আমি দুঃখ প্রকাশ করছি, ক্ষমাসুন্দরভাবে বিষয়টি দেখবেন।’
এ বিষয়কে ‘ইতিবাচক’ বিবেচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকাতা বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ বিষয়টি খুবই ইতিবাচক। আমাদের দেশে প্রশ্নপত্র ফাঁস হলেও মন্ত্রীরা যেখানে স্বীকার করেন না, কিন্তু আজ একজন ক্ষমা চাইলেন তা সত্যিই বিস্ময়কর।’
শিক্ষামন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে একই রকমের মত প্রকাশ করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘এটা নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ, ইতিবাচক।’
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বড় কাজ করতে গেলে ছোট ভুল হতেই পারে। তবে এটা হোক আমরা তা চাই না। এটা উন্নয়নের সমস্যা, উন্নয়নের বেদনা। এবারের মত সমস্যা ভবিষ্যতে আর থাকবে না’ বলেও শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের আশ্বস্ত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন জরুরি বলে মনে করেন ফাহমিদুল হক। অনেক অঞ্চলে এখনো বিদ্যুৎ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক এলাকা আছে যেখানে কম্পিউটার নেই। এমনও মানুষ আছেন যারা ট্যাব জীবনে স্পর্শ করেননি। সেক্ষেত্রে এরালগ মানুষ দিয়ে ডিজিটাল কিছু করতে গেলে সমস্যা হতেই পারে।’
তবে, এবার শিক্ষার্থীরা যে ভোগান্তির শীকার হয়েছেন তার পুর্নরাবৃত্তি যেন হয় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে একই রকমের মত সুজন বদিউল আলম মজুমদারও বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে এর কোনো পুর্নরাবৃত্তি আমরা চাই না। আর এ বিষয়ে ডিজিটাল কোনো কিছু চালুর আগেই কর্তৃপক্ষকে সজাগ থাকতে হবে।’
গেলো কয়েকবছরের মত এবারও একাদশে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাওয়া জিপিএ’র ভিত্তিতে। এবার এই কর্যক্রম চলে অনলাইনে, শিক্ষার্থীদের ফি জমা দিতে হয়েছে এসএমএসের মাধ্যমে।
কারিগরি জটিলতা দেখা দেওয়ার নির্ধারিত সময়ের তিন দিন পর ২৮ জুন মধ্যরাতে ভর্তির জন্য প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। ওই তালিকায় হাজারো ভুলের কারণে কলেজে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন শিক্ষার্থীরা।
অনেক কলেজ কর্তৃপক্ষও সময়মতো তালিকা না পেয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে ভোগান্তিতে পড়ে।”প্রিয়
Discussion about this post