স্বাধীনতাবিরোধী খান এ সবুরের নামে খুলনায় কী কী স্থাপনা আছে তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ০৩ নভেম্বর খুলনার খান এ সবুর সড়ক ও কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান মিলনায়তনের নাম প্রত্যাহারে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ আদেশ বাস্তবায়নের প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের পর রোববার এ আদেশ দেন।
স্বাধীনতাবিরোধীদের নামে স্থাপনাগুলোর নামকরণ প্রত্যাহারের নির্দেশনা চেয়ে ২০১২ সালে হাইকোর্টে একটি রিট করেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবির।
ওই রিটের প্রেক্ষিতে একই বছরের ১৪ মে ওই দুই স্থাপনা থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম প্রত্যাহারের আদেশ দেন হাইকোর্ট।
আদেশে বলা হয়, খুলনা মহানগরীর ‘খান-এ-সবুর’ সড়কের নাম প্রত্যাহার করে আগের ‘যশোর রোড’ নামটি ব্যবহার করতে হবে এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শাহ আজিজুর রহমান’ মিলনায়তনের নাম প্রত্যাহার করতে হবে।
দীর্ঘ তিন বছরেও আদালতের ওই নির্দেশনা অনুসরণ করা হয়নি বলে চলতি বছরের আগস্টে আবারো আদালতে আসেন মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবির। এরপর ২৫ আগস্ট হাইকোর্ট এসব স্থাপনা থেকে নাম প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।
এরপরও প্রত্যাহার না হওয়ায় আবারো আবেদন করেন মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবির।
আদালতে তাদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ কে রাশেদুল হক।
তিনি জানান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ পালন করেছে। কিন্তু খুলনার মেয়রের প্রতিবেদন যথাযথ হয়নি। তাই ১৫ দিনের মধ্যে খান এ সবুরের নামে কী কী স্থাপনা আছে তার তালিকা চেয়েছেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দালাল আইনে বিচার শুরুর সময় প্রকাশিত ছয়শ’ স্বাধীনতাবিরোধী অপরাধীর তালিকায় মুসলিম লীগ নেতা খান এ সবুরের নাম ছিল।
অপরদিকে জিয়াউর রহমানের সময়কার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শাহ আজিজুর রহমান। দেশ স্বাধীনের পর স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকার কারণে ১৯৭২ সালে তাকে দালাল আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
Discussion about this post