খান জাহান আলী দিঘি রক্ষার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, দিঘি সুরক্ষা, পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং পরিবেশ অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ও জনস্বার্থের পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
এ ছাড়া ঐতিহাসিক দিঘিটি ভরাটের কবল থেকে সংরক্ষণ করা ও ভরাট করা অংশ আগের অবস্থায় কেন ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) দায়ের করা জনস্বার্থমূলক মামলার প্রাথমিক শুনানি শেষে গত বৃহস্পতিবার হাইকের্টের বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
দিঘিটির আকার ও আকৃতি পরিবর্তন করা থেকে বিরত থাকতে ভরাটকারীদের ওপর ছয় মাস পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।তা ছাড়া ভরাটকারীদের চিহ্নিত করে তাদের কার্যক্রম কঠোরভাবে তদারকি করে দিঘিটির বর্তমান অবস্থা ও অবস্থান সম্পর্কিত তথ্যসংবলিত একটি প্রতিবেদন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, পরিবেশ অধিদদফতরের মহাপরিচালক, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এক মাসের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বেলার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী। তাকে সহযোগিতা করেন বেলার আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবীর ও আলী মোস্তফা খান।বেলার মাহফুজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, খান জাহান আলী দিঘিটি ভরাট বন্ধে উচ্চ আদালতে বেলার পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। আদালত ভরাট বন্ধের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি দিঘিটি সংরক্ষণের নির্দেশ নিয়েছেন। দিঘিটি আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনারও নির্দেশ দিয়েছেন।
দিঘিটি ব্যক্তিমালিকানাধীন দাবি করে তা ভরাটের উদ্যোগ নেন এর মালিকেরা। গত বছর একবার ভরাটের উদ্যোগ নিলে এলাকাবাসীর আন্দোলনের মুখে তা বন্ধ হয়। কিন্তু দুই মাস আগে পাইপলাইনের মাধ্যমে ভৈরব নদ থেকে বালু এনে পুকুরের চার ভাগের প্রায় এক ভাগ ভরাট করা হয়। পরে খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভরাট বন্ধ করে দ্রুত পাইপ সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন।
সুত্রঃ জাগোনিউজ
Discussion about this post