নিজস্ব প্রতিবেদক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া চার মাসের জামিন আপিল বিভাগে স্থগিত হওয়ার বিষয়ে আজ শুনানি শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে জামিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা লিভ টু আপিল (আপিলের জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন) নিয়েও শুনানি শেষ করেছে আপিল বিভাগ। কাল সোমবার এ বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে।
আজ রবিবার (১৮ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ৯ ও ১০ নম্বরে এ দুটি বিষয়ের ওপর শুনানি ছিল।
সকালে প্রথমে জামিনের বিপক্ষে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের লিভ টু আপিল বিষয়ে শুনানি হয়। খানিক বিরতি দিয়ে জামিনের স্থগিতাদেশ বিষয়ে শুনানি হয়। পরে আদালত এ বিষয়ে কাল আদেশ দেওয়ার কথা জানান।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার জামিন আদেশের বিরুদ্ধে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহাবুবে আলম। এরপর জামিনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী। শুনানি শেষে প্রথমে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আদালত মূলতবি রাখা হয়। পরে দুপুর ১২টায় এ সিদ্ধান্ত জানান আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে এ চার আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
পরে আদালত থেকে বেরিয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন জানান, আদালতে আমরা আমাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছি।
গত ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দেওয়া চার মাসের জামিন স্থগিত চেয়ে পরের দিন রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক আবেদন করে। পরে ১৪ মার্চ আপিল বিভাগ আজ পর্যন্ত জামিনের স্থগিতাদেশ দেন। পরদিন ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জামিনের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল দায়ের করেন।
জামিনের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য ওই দিন বিকেলেই খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা চেম্বার আদালতে আবেদন করেন। কিন্তু আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ওই আবেদনের শুনানিও রবিবার করা হবে মর্মে আদেশ দেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং আসামিদের দুই কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার পর পুরান ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়াকে সেখানে রাখা হয়।
Discussion about this post