নিজস্ব প্রতিবেদক: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি আজ রবিবার। আবেদনটি শুনানির জন্য সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের কার্য তালিকার এক নম্বরে রয়েছে। খালেদা জিয়ার এই মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার খালেদা জিয়ার আইনজীবী আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করলে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। আবেদনটি উপস্থাপন করেন খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। কোর্টের মাজার গেটের প্রবেশপথে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। পরিচয়পত্র চেক করে জনসাধারণকে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় প্রবেশ করতে দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে পুনরায় আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। এবার শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার আরজি জানানো হয় আবেদনে। এর আগে ১২ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করেছিল।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। রায়ে খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি তিন আসামিকেও সাত বছর করে কারাদন্ড দেন ওই আদালতের বিচারক ড. মো. আকতারুজ্জামান। প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে অর্থদন্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিল করলে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল তা শুনানির জন্য গ্রহণ করে অর্থদন্ড স্থগিত করে হাই কোর্ট।
Discussion about this post