খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গেছেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ পাঁচ জন আইনজীবী। রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনটিকে ‘সাবজেল’ ঘোষণা করে সেখানে রাখা হয়েছে তাকে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকাল পৌনে ৩টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে কারা ফটকের সামনে যান আইনজীবীরা। কিন্তু তাদের এখনও ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।মওদুদ আহমদ ছাড়াও কারা ফটকের সামনে আছেন আইনজীবীরা ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার খন্দকার মাহাবুব হোসেন, মো. আলী ও ব্যারিস্টার আব্দুর রেজ্জাক।
কারা ফটকের সামনে মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে ডিভিশন দেওয়া হয়নি। উনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আইনি বিষয়ে পরামর্শ নেওয়ার জন্য ও তার অবস্থা দেখার জন্য আমরা এসেছি। তাকে যেখানে রাখা হয়েছে তা একটি পরিত্যক্ত ভবন। এটি কোনও কারাগার হতে পারে না।’
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘সরকারের এমন আচরণে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও ঘনীভূত হবে ও সংকটের দিকে চলে যাবে।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপর তাকে ওই সাবজেলে নেওয়া হয়। পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের অফিস ভবনের মূল ফটক দিয়ে ঢুকে বামেই সিনিয়র জেল সুপারের যে অফিস কক্ষ ছিল, সেখানেই তাকে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কারা কর্মকর্তারা।
বর্তমানে ওই কারাগারে আর কোনও বন্দি নেই। ২০১৬ সালের ২৯ জুলাই ভোর সাড়ে ৬টার থেকে শুরু করে সারাদিন রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোড থেকে সাড়ে ছয় হাজার বন্দিকে কেরানীগঞ্জে নবনির্মিত কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার বন্দিশূন্য ছিল।
দীর্ঘ ৩৬ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এর আগে একবার কারাগারে যেতে হয়েছিল খালেদা জিয়াকে। ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তখন জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার স্পিকারের বাসভবনকে সাবজেল ঘোষণা দিয়ে সেখানে রাখা হয়েছিল তাকে। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান।
Discussion about this post