জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরবর্তী শুনানির জন্য ২৯ জুন ধার্য করেছে আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন। এদিন বেগম খালেদা জিয়া বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে আদালতে উপস্থিত হন।
আজ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদকে আংশিক জেরা করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম। এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি হাইকোর্টে বিচারাধীন থাকায় সময়ের আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে ২৯ জুন দিন ধার্য করেন। এরপর খালেদা জিয়া দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আদালত প্রাঙ্গণ ছাড়েন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টে’র নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উত্স ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি। ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট এসব অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক হারুন-অর-রশিদ। অপরদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক। ২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন আর রশীদ।
Discussion about this post